সিলেটপোস্টরিপোর্ট:ছাতকের মুনিরগাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মজুমদার আলী মোবাইল চ্যাটে অশালিন বক্তব্য, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রদানের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় ৫ ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক মজুমদার আলী তার মোবাইল থেকে হোয়াটস-আপ’র মাধ্যমে নারী-পুরুষের নগ্ন ছবি-ভিডিও প্রদান ও চ্যাটের মাধ্যমে তাকে সমকামীতায় উত্যক্ত করার চেষ্টা করে আসছিল বলে বিদ্যালয়ের ছাত্র মইনুল হক জানায়।এ ঘটনায় উক্ত শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৫ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মোবাইল চ্যাটের বিষয়টি মইনুল হক তার সহপাঠি ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জানালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী জমির হোসন, মইনুল হক, সেবুল মিয়া ও নবম শ্রেনীর ছাত্র এবাদ উল্লাহ রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছে।আবেদন থেকে জানা যায়, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র ও এসএসসি পরীক্ষার্থী মইনুল হকের সাথে শিক্ষক মজুমদার আলী প্রায় একমাস ধরে তার মোবাইল চ্যাটে অশালীন মন্তব্য করার প্রতিবাদ করলে শিক্ষক তাকে হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি গত ২৮ অক্টোবর সহপাঠিসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের পাশে থাকা শিক্ষক মজুমদার আলী উত্তেজিত হয়ে মইনুল হককে ষ্টীলের স্কেল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের সাথে ওই শিক্ষকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় বিষয়টি ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য ৫ ছাত্রকে ডাকা হয়।সভাশেষে ডেকে নেয়া ৫ ছাত্রকে দোষি সাব্যস্থ করে আগামী ২৬ নভেম্বর বিচারের দিন ধার্য্য করা হয়। দোষি সাব্যস্থ করা ছাত্রদের অভিযোগ আগামী ২৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনের শেষ তারিখ। বিচারের নামে তাদের ফরম পুরনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এতে তাদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে শিক্ষক মজুমদার আলী ও সংশ্লিষ্ট ৫ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত ছাত্ররা যথাসময়ে এসএসসির ফরম পুরনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আবেদনে উল্লেখ করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান জানান, এব্যাপারে একটি লিখিত আবেদন পাওয়া গেছে।