সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : সিলেট সরকারী তিব্বিয়া কলেজে প্র্যাক্টিস রেজিস্ট্রেশন বিহীন ৫ জন প্রভাষক ও ৫ জন মেডিকেল অফিসার এবং এক জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার সহ মোট ১১ জনের অবৈধ নিয়োগ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভা রোববার কলেজে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তদন্ত কমিটির এক সদস্যের কারণে প্রতিবেদন বানচালের চেষ্টা চলছে। উক্ত সদস্য হলেন ঢাকার মিরপুরস্থ সরকারী ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের আয়ুর্বেদ শাখার প্যাথলজি বিভাগের প্রভাষক কবিরাজ তৈয়েবুর রহমান। তিনি উক্ত নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি নিজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বিএএমএস ডিগ্রি বিধি বহির্ভুত ভাবে অর্জন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য) এ.কে.এম আমির হোসেনের নিদের্শে উপ-সচিব এস.এম আহসানুল আজিজ ১১নভেম্বর-১৫ শোকেজ নোটিশ করেছেন। কবিরাজ তৈয়েবুর রহমান পর পর দু’বার অসদাচরণ ও দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত। এ কারণে তার দুটি ইনক্রিম্যান্ট (বেতন বৃদ্ধি) অনেক দিন বন্ধ ছিল।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৮/১০/১৫ইং তারিখে ডিজিএইচএস/ শৃঙ্খলা-১৬৮/ ৫৩৬০/ ১(৪) নং স্মারকমূলে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য এর কার্যালয় সরকারী তিব্বিয়া কলেজে রেজিস্ট্রেশন বিহীন নিয়োগ প্রাপ্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রোববার সম্পন্ন করেছে। নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ জহিরুল হক তার অনিয়ম ঢাকতে বিভিন্ন চলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তিনি জাল অভিজ্ঞতার সনদ এবং প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কোন আবেদন-নিবেদন না করলেও অন্য একজনের করা ৭০৪৩/২০১২নং মহামান্য হাইকোর্টের একটি রিটের আদেশ দ্বারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। অথচ তিনি এই রিটের কোন পক্ষও নন এবং আদেশের কপিতে তার নামও উল্লেখ নেই। বিজ্ঞপ্তি
সিলেটপোস্ট২৪ডটকম/ফয়ছল আহমদ/২৩.১১.২০১৫