সংবাদ শিরোনাম
নবীগঞ্জে ৬ বছরে শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ! ধর্ষনকারী আনহারকে আটক   » «   ফ্যাসিস্ট ডামি সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে :কাইয়ুম চৌধুরী  » «   বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল  » «   সিলেটে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের হাতে বাবা খুন  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  » «   নবীগঞ্জে ভুল অপারেশন করে শিশুর লিঙ্গ কর্তন-কেয়ার ডায়াগনস্টিক ঘেরাও  » «   সিলেটের উপশহরে মামার হাতে বাগিনা খুন  » «   ব্রাদার ইসরাইল আলী সাদেক জামিন নিতে এসে গ্রেপ্তার  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারায়বাজারে ভারতীয় চিনিসহ আটক- ৪ জন  » «   প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে দেশীয় সংস্কৃতি লালন করতে হবে  -জেলা প্রশাসক  » «   শান্তিগঞ্জের কান্দিগাঁও গ্রামে বাচ্চাদের ঝগড়া নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় দুই ছাত্রীসহ ৩জন আহত  » «   বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী : প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী  » «   রমজান উপলক্ষে জুলকার নায়েন ফাউন্ডেশন দোয়ার বই ও খেজুর বিতরণ  » «   ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটি  » «   মাদানী ইস্যুকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা ভাংচুর, আটক ৫; পুলিশের ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি  » «  

২০ দলের নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণায় আ.লীগের হিসাব পাল্টে যাচ্ছে

8সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করে আসছিলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর তাদের সন্দেহ-সংশয় আরো বেড়ে গিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট যে সঠিক ছিলো এটা সিটি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।   এতো কিছুর পরও আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ২৩৬ টি পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দল। এমনকি তারা প্রতিটি পৌরসভায় একক প্রার্থী দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণও হয়ে গেছে বিএনপির।২০ দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন আর আগের মতো নেই। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গুম, হত্যা, চাঁদাবাজি, মানুষের জমি দখল ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি, গণগ্রেফতারের কারণে আওয়ামী লীগ এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের ওপর নির্ভর করেই এখন তারা টিকে আছে। জনসমর্থন তাদের একেবারে নিচের কোটায়।ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীনরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে নিজেদের লোক বসানোর যে পরিকল্পনা করছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করবে। আর এমপি-মন্ত্রীরা যেহেতু নির্বাচনী প্রচার কাজে অংশ নিতে পারবেন না, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রচারাভিযানে নামলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের অনুকূলে চলে আসবে।বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, বিগত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের সঙ্গে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল পৌর নির্বাচনে আর সেটা হবে না। মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জামায়াতের কোনো প্রার্থী অংশ নিতে না পারলেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে। যাতে জোটের মধ্যে কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না হয়।এসব বিষয় হিসাব-নিকাশ করেই শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচনে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। আর ২০ দলের পৌরসভা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক তাদের পরবর্তী তৎপরতায় অনেকটা অস্বস্তিতে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যদিও মুখে এটা তারা স্বীকার করছেন না।আওয়ামী লীগের এবারের টার্গেট, দেশের সবগুলো পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় লোকদের বসানো। এজন্যই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করার পদ্ধতি চালু করেছে।আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, একদিকে মাঠ পর্যায়ে দলের অবস্থা এখন আর আগের মতো এতটা ভাল নয়, অপরদিকে প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়নে একাধিক বিদ্রোহী গ্রুপ রয়েছে। নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে সব জায়গাতেই তাদের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়াতে পারে। এর ফলে নির্বাচনী ফলাফল বিএনপি জোটের পক্ষে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তাদের। তাই একক প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনী ফলাফলটা নিজেদের ঘরে আনার লক্ষ্যেই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি চালু করেছে।আর আওয়ামী লীগের আরেকটি ধারনা ছিল, নিবন্ধন বাতিলের কারণে জামায়াত যেহেতু সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তাই বিএনপিও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকবে। তখন সহজেই তাদের দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসবে।কিন্তু, বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর পরই হিসাব পাল্টে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ যদিও প্রার্থী মনোনয়ন ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, কিন্তু কোনো কোনো এলাকায় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন স্থানীয় নেতারা, এমন আশঙ্কাও করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। যদিও একই সমস্যা বিএনপিতেও রয়েছে, তথাপি আওয়ামী লীগের সংকটটা এ বিষয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।অপরদিকে, আওয়ামী লীগ এককভাবে প্রার্থী দিবে এমন সিদ্ধান্ত জানার পর ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। তারাও এখন আলাদা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর একটা প্রভাবও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ওপর পড়বে।নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধের কারণে মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নামতে পারছে না। অপরদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় সব নেতারই প্রচারাভিযানে নামার সুযোগ রয়েছে। ভোটের ক্ষেত্রে এটাও আওয়ামী লীগের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে সচেতন মানুষ মনে করছেন, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ভোটের হাওয়া ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের দিকেই যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.