সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :গাজীপুর কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় সোমাবার রাতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট, ডিবি পুলিশ, সাংবাদিক পরিচয়দানকারীসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ।আটককৃতরা হলেন, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী শারমিন আক্তার মিতু (২৭), সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয়দানকারী মনিরুল ইসলাম (৪৫), রিপোর্টার শাহ আলম (৪২), আবুল বাসার (৫০) ও হালিম (২৮)।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে কাপাসিয়া বাজার ও তরগাঁও এলাকায় বিভিন্ন মিষ্টির দোকান, ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ভাঙ্গারি দোকানে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে স্থানীয়রা ৫ প্রতারককে আটক করে। এরপর তাদেরকে কাপাসিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, রাজধানীর উত্তরার ৯নং সেক্টরের ১নং রোডের ৫৫ নং বাসায় আই পি সি এস নামক একটি অনলাইন পত্রিকার স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার ও গাজীপুরের শালনা এলাকার বাবুল সর্দারের মেয়ে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী মনিরুল ইসলাম (৪৫), রিপোর্টার শাহ আলম (৪২), আবুল বাসার (৫০) ও হালিম (২৮) প্রাইভেটকার যোগে এলাকায় এসে ডিকি পোশাতের মতো পোষাক পড়ে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে চাঁদা আদায় করতে ছিল।
তারা শ্রীপুরে উজ্জলের মিষ্টির দোকানসহ কয়েকটি মিষ্টির দোকানে কাগজ পত্র দেখানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে। সেখানে শীতলক্ষ্যা, জুবায়দা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে কাগজ পত্র এবং অনুমোদন আছে কিনা তা দেখাতে বলে তাদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করে।
এরপর সন্ধ্যায় তরগাঁওয়ে ভাঙ্গারির দোকানে একই কায়দায় টাকা চাইলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়। খবর পেযে এস আই শাহজাহান ও সুজন হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখান থেকে তাদেরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি ক্যামেরা আই পি সি এস এর আইডি কার্ড, টাকা আদায়ের তালিকা, বিভিন্ন চাকরির সুপারিশের কাগজপত্র, বদলির সুপারিশ (ঢাকা মেট্রো-ক-০৩-৭২৩১) নম্বরের একটি প্রাইভেটকার ও চাঁদাবাজির ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা জানান, পত্রিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাকসুজ্জামানের নির্দেশে একই কায়দায় তারা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আদায়কৃত অর্থের ৬০ ভাগ মালিক ও ৪০ ভাগ নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নেয়। আটককৃতদের গাজীপুর ডিবি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা কোথাও ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিক আবার কোথাও ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার মানুষকে ভয় দেখানো ও প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আসছিল।