সংবাদ শিরোনাম
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বিচার দেশের মাটিতেই হবে : এমরান চৌধুরী  » «   ওসমানীনগরে ছাত্র দল নেতা নুনু স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট মহানগর কৃষকদলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  » «   ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: কয়েস লোদী  » «   ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ অন্যায় ও জুলম থেকে মুক্তি পেয়েছেন-ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন  » «   নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন  » «   মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট নগরীর গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের লিপ্ত থাকায় পাঁচ নারী ও এক পুরুষ আটক  » «   জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপি জনগণের পাশে আছে : আব্দুর রাজ্জাক  » «   ৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «  

ছাত্রলীগের হাতে বেরোবি উপাচার্য লাঞ্ছিত

7সিলেট পোস্ট রিপোর্ট :বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ফুল দেয়া নিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভিসিসহ শিক্ষকরা।পরিস্থিতি এতেটাই নাজুক অবস্থায় চলে যায়, ভিসি নিজের স্যান্ডেল রেখেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাংলো পর্যন্ত খালি পায়ে হেটে চলে যান বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১মিনিটে ঝাপসা আলোয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর উন নবী’র নের্তৃত্বে কিছু শিক্ষক। এসময় মাইকে ঘোষণা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ)। উপাচার্যের পরে ছাত্রলীগের নাম ঘোষণা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের নাম বলেন ঘোষক। পরে উত্তেজিত হয়ে যান উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরো জানা যায়, তোপের মুখে ফেলে মেয়েদের আগে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ছাত্রলীগ। পরে তারা ঘোষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রশমূলক বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
এক পর্যায়ে উপাচার্য স্বাধীনতা স্বারক থেকে নেমে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা তাকে ঘিরে ধরেন।বিজয় দিবসেও ক্যাম্পাস কেন সাজানো হয়নি, শহীদদের প্রতি লোক দেখানো শুধু শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হচ্ছে কিনা এসব প্রশ্নের জবাব উপাচার্যের কাছে থেকে চায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। কথা বলার এক পর্যায়ে দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করতে যান উপাচার্যসহ উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সেখান থেকে। এসময় তিনি পায়ের জুতা দুটোও নিয়ে যেতে পারেননি। অবশেষে একটি জুতা পাওয়া গেলেও অপরটি পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসান লাঞ্ছিত করার বিষয়টি নাকোচ করে দিয়ে বলেন, ‘বিজয় দিবসেও ক্যাম্পাস সাজানো হয়নি।

আবার আমরা ফুল দেয়ার জন্য স্বাধীনতা স্বারকে উঠেছি। এমন সময় অন্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এসব নিয়ে উত্তেজিত হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোর্শেদ উল আলম রনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিজয় দিবস পালনে তেমন কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি। এর পিছে কোন বাজেটও ছিলো না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,‘এর পরের প্রোগ্রামগুলো ভালো করে করা হবে।’

জানা গেছে, এসবের মধ্যেও উপাচার্য ও ছাত্রলীগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন আর বাংলার মুখের পক্ষ্য থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.