
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুর্নবাসন করেছিল। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া এ ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে লাখো শহীদের রক্তে ভেজা পতাকা তুলে দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশ অভিশাপমুক্ত হতে শুরু করেছে। যতই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, ততই দেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশেও কিছু মানুষ আছেন যারা এদেশে থেকে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেন। তারা পাকিস্তানের কথা ভুলতে পারেন না। তাদের মন থেকে পাকিস্তানের নাম ভুলাতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের পাকিস্তানের দালালদের অস্তিত্ব থাকতে পারে না।
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভবিষ্যতে আর কাউকে বাংলাদেশের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলা মামলা করে চিত্কার করলে হবে না। পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, আগুন দিয়ে বাস-রেলসহ জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করার জন্য মামলা হয়েছে। সুতারং খুনী খুনীই। খুনীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না। যারা মানুষ হত্যাকারী, হুকুমদাতা, অর্থের যোগানদাতা তাদের সকলেরই বিচার হবে। তিনি আরো বলেন, যারা মানুষ হত্যা করেছে, এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, ক্ষমতায় থেকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জজ মিয়ার নাটক করেছে, জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে তাদের বিচার হবে না, এটা হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চির জাগ্রত করে রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি।