সিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত বলে মনে করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ বক্তব্য তুলে ধরেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।গত সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।’ তাঁর এই বক্তব্যের জবাব দিতে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘জাতি মনে করে পাকিস্তানি দোসর হিসেবে খালেদা জিয়া চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। মনেপ্রাণে চেতনায় পাকিস্তানি খালেদা জিয়াকে সবাই প্রত্যাখ্যান করবে।’ তিনি বলেন, এই কটাক্ষ করার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের রোষানল থেকে খালেদা জিয়া ও তাঁর কর্মীরা যে অক্ষত আছেন; গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। নতুবা খালেদা ও তাঁর কর্মীরা রাস্তায় বের হতে পারত না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়ে যেত।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘একটি স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব দেশের নাগরিক হিসেবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কীভাবে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় বিএনপি? বীরের জাতি আমরা। দেশের মান-সম্মান রক্ষার দায়িত্ব সবার। বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করব এটা যেন নষ্ট না করে।’ কূটনৈতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক দেখে ‘অবাক ও লজ্জিত হয়েছি’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।৯টার মধ্যে নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের এমন মন্তব্যের বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘এরশাদের বয়স কত? ৮৪-৮৫। উনি বৃদ্ধ। স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনা থাকা কঠিন। হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন এ জন্য তো আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত।’সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।