সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আয়ারল্যান্ডপ্রবাসী মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়তির একটি ফটোগ্রাফের দাম দুই হাজার ইউরো! বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু কী এমন ফটোগ্রাফ বা ছবি যার জন্য এত মূল্য নিচ্ছেন প্রিয়তি!
প্রিয়তি জানিয়েছেন, তাঁর ছবি বিক্রির পুরো অর্থই আয়ারল্যান্ডের বন্যাদুর্গতদের ঘর নির্মাণের জন্য দেয়া হবে। প্রিয়তির ছবিটি প্রকাশ করবে আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘অনডাইন’। প্রিয়তির ছবির মূল্য বাবদ এ অর্থও দিচ্ছে ‘অনডাইন’ ম্যাগাজিন। সংগত কারণেই আর কোথাও এ ছবি প্রকাশ করা নিষেধ।
আয়ারল্যান্ড থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রিয়তি জানিয়েছেন, ‘শুধু আমি একা নই, বিশ্বের ৯টি দেশের ৯জন টপ মডেল তাঁদের নিজ নিজ দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিনগুলোর সঙ্গে এই কাজটি করছেন। তাঁদের ছবি বাবদ পাওয়া সব অর্থ ব্যয় করা হবে বন্যাদুর্গত ৩০টি পরিবারের ঘর নির্মাণের কাজে।’ আয়ারল্যান্ড থেকে অংশ নিচ্ছেন শুধু প্রিয়তিই।
এই উদ্যোগটি নিয়েছে ‘হোমলেস কমিউনিটি ইন আয়ারল্যান্ড’ নামের একটি সংস্থা।
প্রসঙ্গত; আয়ারল্যান্ডে এখন ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। আর এই ভয়াবহ বন্যার কারণে দেশটিতে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
বরাবরই সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন প্রিয়তি। তাই এবারো নেমে পড়েছেন বন্যার্তদের সাহায্য করতে।
নিজের ছবি সম্পর্কে প্রিয়তি বলেন, ‘সব মডেলের ছবিই একটু খোলামেলা, যা এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই। আমার একটা ছোট্ট কাজের মাধ্যমে যদি মানুষের উপকার হয়, তাহলে আমি কেন তা করব না।’
কদিন আগে জলবায়ুবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিজের বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন প্রিয়তি, যা সে সময় আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
প্রায় ১৫ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডে আছেন ঢাকার ফার্মগেটে বেড়ে ওঠা মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি, যিনি সবার কাছে প্রিয়তি নামেই পরিচিত। ২০১৪ সালে তিনি আয়ারল্যান্ডের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় লড়ে ‘মিজ আয়ারল্যান্ড-২০১৪’ খেতাব পান। এর পরের বছর মিজ আর্থ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রানার্সআপ খেতাব পান প্রিয়তি। নিয়মিত মডেলিংয়ের পাশাপাশি নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি। এর পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিমান চালনা ও প্রশিক্ষকের কাজও করছেন প্রিয়তি।