সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ভিকারুননেসা নূন স্কুলের নিখোঁজ এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীর আলম নামের এক প্রবাসী যুবক বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটে তাকে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক প্রবাসী যুবককে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি শীর্ষ নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ডিউটি অফিসার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম।
ওই ছাত্রীর বাবার নাম আশরাফ হোসেন। খিলক্ষেত থানার ক/১৯১ নম্বর কুড়িল ঘাটপাড়া মিয়া বাড়ি এলাকায় তাদের বাসা। গত ৪ জানুয়ারি সে কোচিং করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরে তার বাবা ভাটারা থানায় একটি জিডি করেন। ওই জিডির ভিত্তিতে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডের শেষ মাথায় মেয়েটি ঘোরাঘুরি করতে ছিল। এসময় সাদা পোশাকের পুলিশ মেয়েটিকে দেখে সন্দেহ করে। তাকে উদ্ধারের পর ভাটারা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে মেয়েটি কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, জাহাঙ্গীর নামে এক প্রবাসী যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কের ভিত্তিতে গত ৪ জানুয়ারি সে তার কাছে যায়। এরপর সে একটি ফ্ল্যাটে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির পরিবার খবর পেয়ে ভাটারা থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মেয়েটির তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে প্রবাসী যুবক জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভাটারা থানার এসআই ওয়ারেছ মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস আক্তার শীর্ষ নিউজকে বলেন, মেয়েটিকে ওই প্রবাসী বিয়ে করেছে। এক লাখ টাকা কাবিন করা হয়েছে বলে মেয়েটি তাকে জানিয়েছে। মেয়েটি তার বাবা-মা’র সামনেই বিয়ের বিষয়টি তার কাছে স্বীকার করেছেন।
ভাটারা থানার ডিউটি অফিসার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম শীর্ষ নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত জাহাঙ্গীর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।