সংবাদ শিরোনাম
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বিচার দেশের মাটিতেই হবে : এমরান চৌধুরী  » «   ওসমানীনগরে ছাত্র দল নেতা নুনু স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট মহানগর কৃষকদলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  » «   ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: কয়েস লোদী  » «   ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ অন্যায় ও জুলম থেকে মুক্তি পেয়েছেন-ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন  » «   নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন  » «   মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট নগরীর গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের লিপ্ত থাকায় পাঁচ নারী ও এক পুরুষ আটক  » «   জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপি জনগণের পাশে আছে : আব্দুর রাজ্জাক  » «   ৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «  

রাতে মাদ্রাসায় ঢুকে মাসুদকে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করে পুলিশ-ছাত্রলীগ

6সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার (বড় মাদ্রাসা) ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে যাঁরা আহত হন, তাঁদের মধ্যে হাফেজ মাসুদুর রহমান ছিলেন না। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেছেন, তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন, সেখানেই রাতে পুলিশ-ছাত্রলীগের অভিযানে নিহত হন।

মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঘুমিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। তাদের নির্যাতনে মাসুদুর রহমান মারা যান। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থানে থাকব।’

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ মাদ্রাসায় আসার পর কিছু ছাত্র জীবন বাঁচাতে ওপরে উঠে পড়ে। তখন পুলিশ তাঁকে পিটিয়ে গুলি করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও ছিলেন।’

আরেকজন জানান, পুলিশ ও কিছু সাধারণ মানুষ যখন সেখানে আসে, তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

হাফেজ মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহত হাফেজ মাসুদের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন ও সহপাঠী মুফতি নিয়ামুল ইসলাম দাবি করেছেন, মাসুদের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

বড় মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোবারক উল্লাহ বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, সামান্য ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। সে সময় শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ছিলেন না।

যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ছাত্রদের মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাচি গেট তালা মেরে দেন। তার পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেপেলেরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করে।’

রাতে মাদ্রাসায় অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তাদের হাতে ওই শিক্ষার্থী মারা যাননি বলে দাবি করেছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের বড় মাদ্রাসার এক ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে এতে ছাত্রলীগ ও এলাকার কিছু লোক যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.