
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২৯৯ রান করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ গড়তে পারলেও শুরুটা কিন্তু ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান সাইফ হাসান। একাদশ ওভারে ৪৪ রানে বিদায় নেন জয়রাজ শেখ।
তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন ও পিনাকের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। ৩২.২ ওভারে ১৭৯ রানের দারুণ জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন পিনাক-নাজমুল।
শতরানে পৌঁছে রান আউট হয়ে ফিরে যান পিনাক। গত জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপেক্ষ ১৫০ রানের চমৎকার ইনিংস খেলার পর থেকে সেভাবে রান পাচ্ছিলেন না উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান। শেষ চার ইনিংসের তিন বারই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি তিনি। ১৩৫ বলে খেলা পিনাকের ১০৯ রানের ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো।
পিনাকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেননি নাজমুলও (৭৯)। বাংলাদেশের সহ-অধিনায়কের ৯৮ বলের ইনিংসটি গড়া ৫টি চার ও একটি ছক্কায়। শেষের দিকে অধিনায়ক মেহেদির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অতিথিদের তিনশ’ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ২৬ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদি।
জবাবে তিন বল বাকি থাকতে ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনও জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি অতিথিরা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। স্বাগতিক বোলারদের দাপটে তেমন কোনো জুটিও গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জুনিয়র টাইগারদের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন পেসার মেহেদি হাসান রানা (৩/৩৫) ও বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন (৩/১৯)। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন দুই উইকেট নেন ১৮ রানে।