বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের মেলা’ শেরপুরে প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হতো। কিন্তু করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে বসতে শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটি।
শনিবার সরেজমিনে মাছের মেলার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকা, স্টিমার ও গাড়ি যোগে মাছের আড়ৎদাররা মাছ নিয়ে এসেছেন। মজুতও করে রাখা হয়েছে ছোট- বড় মাছ। আছে বোয়াল, আইড়, বাঘাইড়, চিতল, রুই, কাতলা, গজার সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ মেলাকে কেন্দ্র করে মৎসব্যবসায়ীরা প্রস্তুত করছেন বড় বড় দোকান। এখনে রয়েছে নানা ধরনের গৃহস্থালি ও বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, সৌখিন জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনার মালামাল কসমেটিক্স বসেছেন অসংখ্য দোকানি। এতে কাঠের তৈরি খাট, আলমিরা, আলনা, সকেস, চকি, সহ রান্না ঘরের জিনিসপত্র নিয়েও বসেছেন কয়েকজন দোকানি। মেলায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশাট লোকজনের উপস্থিতিতে শীত আছে বলে বুঝাই জাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য যে, পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে এই ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলার প্রচলন শুরু করেছিলেন জমিদার মথুর বাবু। এরপর থেকেই ঐ এলাকায় প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে আয়োজন করা হয় ‘মাছের মেলা’ নামের এই মেলা। শুরুতে ওই মেলাটি সদর উপজেলার মনুমুখ এলাকায় হলেও পরবর্তীতে মেলাটি উপজেলার শেরপুরে স্থানান্তরিত হয়। মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর, ধলই, কুশিয়ারা ও মনু নদী সহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন হাওরের মাছের উপর নির্ভর করে প্রতিবছরই বসে এ মেলাটি। মৎসজীবিরা এই মেলায় মাছ বিক্রির জন্য ৫ থেকে ৬ মাস আগে থেকেই বড় বড় মাছ সংগ্রহ বিভিন্ন পন্তা অবলম্বন করে মাছকে জীবত রাখেন এই মেলার জন্য। সর্বচ্ছ এই মেলায় বড় একটি বাগাই মাছের দাম হয়েছে এক লক্ষ বিষ হাজার টাকা। দেড়, দুই লক্ষ সহ তার অদিক মূল্যের মাছও এই মেলাও রয়েছে।