সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব মেরুয়াখলা গ্রামে জামাই বাহরাম এর হাতে শাশুড়ি আলেয়া খাতুন ( ৪০) খুনের মামলায় প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম মো. বাহরাম মিয়া।
মঙ্গলবার(১৮ই এপ্রিল) দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাশের উপজেলা তাহিরপুরের লাউড়েরগর এলাকার ঢালার পাড়ে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশ্বম্ভরপুর জোনে বিজ্ঞ বিচারকের সামনে উপস্থিত করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মুঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। বাকি আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে যৌতুকসহ পুর্ব শক্রতার জেরে ৪নং মেয়ে রুবিনা আক্তারের স্বামী বাহরাম হোসেন তার শাশুড়িকে তাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় ডেকে এনে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুড়া দিয়ে এলাপাতাড়ি স্ট্রেপিং করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আলেয়া বেগমকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার(১৮ই এপ্রিল) নিহতের স্বামী রবি মিয়া বাদি হয়ে মেয়ের জামাতা বাহরাম মিয়া ও মোস্তফা মিয়াকে আসামী করে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ধনপুর ইউনিয়নের পুর্ব মেরুয়াখলা গ্রামের রবি মিয়ার স্ত্রী আলেয়া খাতুন ৫ (পাঁচ) সন্তানের জননী। আলেয়া খাতুনের ৪ মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ৪ জন মেয়ে সন্তান বড়। তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর আল মামুন জুবাঈদ(১২) তাদের একমাত্র ছেলে সন্তান । প্রথম মেয়ে আলপিনা আক্তার, ২য় মেয়ে সাবানা আক্তার, ৩য় মেয়ে সেলিনা আক্তার, ৪র্থ মেয়ে রুবিনা আক্তার। ৪র্থ মেয়ের স্বামী বাহরাম হোসেন।
প্রায় সময়ই স্ত্রীর সাথে গ্রেপ্তারকৃত খুনী বাহরামের যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর চাপ প্রয়োগ করত। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত বাহরামের শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ির সাথে কথা কাটাকাটি মনোমালিন্য লেগেই থাকত। যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করতে না পেরে ঘাতক বাহরাম হোসেন ঘটনার দিন স্ত্রীর সাথে শ্বশুড় বাড়িতে যৌতুকের টাকার এসে শ্বাশুড়ির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন শ্বাশুড়ি জামাইকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে মেয়ের জামাই বাহরাম এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা ছুড়া দিয়ে শ্বাশুড়ির পেঠের বিভিন্নস্থানে আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। পরে ঘাতক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।