সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::অনেক বছর আগেই পৃথক হওয়া আপন বড়ভাইয়ের সম্পত্তির প্রতি অবশেষে ওয়ারিশ নামার স্বাক্ষর আনতে গিয়ে লোভ আসল তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের।
গতকাল ২৬ এপ্রিল রোজ বুধবার ২০২৩ ইং তারিখে ফেইসবুকে পোষ্ট দিলেন চেয়ারম্যানের আপন বড়ভাইয়ের মেয়ে কৃষ্ণা রায় ওরফে দেবী রায় তার নিজের আইডিতে।
কৃষ্ণা রায় তার আপন কাকু(চাচা) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিতোষ রায়ের প্রতি এমন ইঙ্গিত করেই তার ফেইসবুক আইডিতে এমন পোষ্টটি করেন।
কৃষ্ণা রায় তার পোষ্টে উল্লেখ করেছেন তার বাবা পীজুষ রায় অনেক বছর আগেই মারা গেছেন। তারা পাচঁবোন,তাদের তাদের ভাই নেই। কৃষ্ণা রায় উল্লেখ করেন তার বাবা পীযুষ রায় জীবিত থাকা অবস্থায় উনার ৪ মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করলেও ৫নম্বর মেয়ের বিয়ের আগেই তিনি মারা যান। পীযুষ রায় মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী অর্চনা রায় চলতি বাংলা সনের গত ফাল্গন মাসে তাদের অংশের জমিজামা অন্যত্র ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করে সব ছোটমেয়ের বিবাহ কাজ সম্পন্ন করলে ও বিক্রি করা জায়গা জমি রেজিষ্ট্রারী করে দিতে মৃত পীযুষ রায়ের আপন ছোটভাই চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান পরিতোষ রায়ের ওয়ারিশান সার্টিফিকেট আনতে পীযুষ রায়ের সহধর্মিনী অর্চনা রায় তার দেবর (ঠাকুরপো) চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তিনি স্বাক্ষর দিবেন বলে বলে সময় কালক্ষেপন করতে লাগেন বলে চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজি মৃত পীজুষ রায়ের মেয়ে কৃষ্ণা রায় ওরফে দেবী রায় তার পোষ্টে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন সম্প্রতি ৫নং যে মেয়েটির বিবাহ সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে সেই মেয়েটি পিতা হারানোর পর থেকে চেয়ারম্যান পরিতোষ রায়কে(কাকু)কে বাবা বলে ডাকতেন। ভাগ বাটোয়ারা সম্পত্তির বিষয় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেলেও এখন মিমাংসিত বিষয়টিকে সামনে এনে ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় এখন তার আপন মৃত বড়ভাইয়ের সম্পত্তির উপর লোভ লালসা থেকে তিনি বলছেন ভাইয়ের সম্পত্তির উপর ভাই হিসেবে আমার অধিকার রয়েছে বলে কৃষ্ণা উল্লেখ করেন। এখন বিক্রি করা সম্পত্তি রেজিস্টি করে দিতে না পারায় অর্চনা রায় রয়েছেন চরম বিপাকে। কৃষ্ণা তার আইডিতে আরো উল্লেখ করেন তার কাকু চেয়ারম্যান পরিতোষ রায়কে এতদিন সৎ ভাবলে ও এখন ভাবছেন তিনি লোভী। তার অন্যান্য আরো দুই জেঠাতো ভাই উনারা ওয়ারিশানে স্বাক্ষর দিতে রাজি হলেও চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা না পেলে তিনি স্বাক্ষর করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। ফলে গত কয়েক মাস ধরে চেয়ারম্যানের নিকট ধর্না দেওয়া কৃষ্ণা রায়ের মা অর্চনা রায় বর্তমানে মেয়ের বিয়ে বিক্রিত জমির টাকার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে না পারায় খরিদারের চাপে প্রেসার সমস্যায় জর্জরিত। এদিকে কৃষ্ণা রায় ওরফে দেবী রায়ের এই পোস্টটি ডিলেট দিতে একাধিক চাপ প্রয়োগের কারণে কৃষ্ণা রায় ওরফে দেবী রায় তার আইডি হতে পোষ্টটি ডিলেট করে দেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিতোষ রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মিমাংসিত বড়ভাইয়ের সম্পত্তিতে ওয়ারিশান হিসেবে স্বাক্ষর না দিয়ে এতবছর পরে লোভের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার জান পরে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।