
২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেট। মেয়র প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি সরকার দল আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং প্রচার সামগ্রী প্রচার প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলছেন, নির্বাচনে নতুন প্রার্থী হওয়ায় তার প্রতি জনগণের আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২১ জুন নির্বাচনে তার বিজয় অনেকটা নিশ্চিত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমাবেশে অংশ নেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সময় তিনি জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান।
এদিকে সকাল থেকেই সিলেটের নবগঠিত ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। পাশাপাশি তার কর্মীদের মারধোর এবং প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে মৌখিকভাবে জানানো হলেও লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি পান নি পুলিশি সহযোগিতাও।
এর আগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলও তার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ করেন সরকার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে , সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলীয় ৪৩ নেতাকর্মী মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। শনিবার রাতে তাদের কাছে বহিষ্কারের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, অনেক অনুরোধ এর পরেও যারা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেন প্রার্থী হয়েছেন তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রথমে তাদের শোকজ করা হলে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এ বহিষ্কার করা হয়। তাদের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারণায় যাতে অংশ না নেন সেই আহ্বান জানান বিএনপি এই নেতা।