
তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে শঙ্কার কোন কারণ নেই। ইভিএমে ফিঙ্গার দিয়ে ব্যালট খুলতে হয়। ইভিএমের নিরাপত্তা অনেক অনেক বেশি। প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি থাকায় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করবে। ইভিএম সিসিটিভিতে অনিয়ম খুব একটা চোখে পড়ে নি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। তারপর ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে আশ্বস্ত না হলে মিলিটারি ফোর্স এনে বসানো যাবে না। নির্বাচনে ব্যয়ের মানদন্ড পুনর্বিবেচনা করা হবে। ২০০৮ সালের ব্যয়ের মানদন্ড দিয়ে চলছে। সবকিছুর ব্যয় বেড়েছে।
সকাল সাড়ে ১১ টায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কথা বলেন। জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় প্রার্থীরা ইভিএম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোট গ্রহণে ধীরগতি, কারিগরি সমস্যা রয়েছে। সিলেটের ভোটাররা ইভিএমের সাথে পরিচিত না। পাশাপাশি নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেও অনেককে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আবার যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের কেউ কেউ অতি উৎসাহী ভূমিকায় নেমেছেন।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরীফ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুলাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফয়সল কাদের।