সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা এলাকায় দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (১৪ জুন) বেলা ২টা থেকে প্রায় ৪টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। প্রায় ২ ঘন্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৬০০ জনকে আসামী করে মামলা করেন।
জানা গেছে, সিলেটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার সকালের বৃষ্টিতে কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। তাই সড়ক খুঁড়ে মাটি রাস্তার পাশে রাখায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই পানি অনেকের বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেই জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে সিসিকের বর্ধিত ৩৯ নং ওয়ার্ডের মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার বাসিন্দারা কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেন। এসময় অবরোধকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। কিন্তু বেলা ২টার দিকে সংশ্লিষ্টরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সদর উপজেলাধীন সোনাতলা এলাকার একটি রাস্তা কাটতে গেলে স্থানীয়রা এতে বাধা প্রদান করেন। এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনাতলা এলাকাবাসীর সঙ্গে মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার মানুষের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এসময় উপয়ক্ষ একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তখন বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছিল। সেখানে রয়েছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রুকন উপস্থিত ছিলেন।
ওসি বলেন- তখন বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অনেকেই আহত হয়েছেন।
এদিকে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রুকন আরো জানান,দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনায় মামালা দায়ের হয়েছে।
তিনি জানান, বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৬০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি। সংঘর্ষ চলাকালে আহত চার পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় মইয়ারচড়, নয়া খুররমখলা, নাজিরেরগাঁও, শিমুলতলা ও সোনাতলা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও শেষ পর্যন্ত দুইপক্ষই এতে সম্মত হননি।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাজার আলী শেখ বলেন, সংঘর্ষ থামাতে ১৪৪টি রাবার বুলেট এবং ১৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে।