সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দাড়াঁইন নদী পারাপারের সময় দুই সন্তানসহ মা নিখোঁজ হওয়ার ১৬ ঘন্টা পর মায়ের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা গেলে ও দুই সন্তানের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার দাড়াইন নদী হতে আধা কিলো: মিটার দূরে মাউতি বিলে মা দূর্লভ রানী দাস(৩০) এর লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরী করেন। তিনি শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের বিলপুর গ্রামের রথীন্দ্র কুমার দাসের স্ত্রী।
নিখোঁজ দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে জবা রানী দাস(৭) ও ছেলে বিজয় কুমার দাস(৫)।
উল্লেখ্য গতকাল সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টায় শাল্লা সরকারি কলেজ সংলগ্ন ব্রিজের পূর্বপ্রান্তের নিকটবর্তী দক্ষিণ দিকের শাসখাই বাজারে যাওয়ার রাস্তার পাশে দাড়াঁইন নদী দিয়ে পারাপারের সময় মা দূর্লভ রানী দাস তার দুই শিশু সন্তান মেয়ে জবা রানী দাস(৭) ও ছেলে বিজয় কুমার দাস(৫) নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ঐ নদীতে স্রোতের কবলে পড়ে ছেলে সন্তান বিজয় কুমার দাস স্রোতের পানিতে ভেসে যায়। সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে মেয়ে সন্তাসহ মা আগাইয়া ঘেলে তারা ও নদীর স্রোতে ভেসে যান ।
খবর পেয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব,থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩টি নৌকার মাধ্যমে জনসাধারনকে নিয়ে সারারাত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখলে ও নিখোঁজদের কোন সন্ধান মিলেনি। তবে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মাউতি বিলে নিখোঁজ নারীর ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত ও সুরতহাল রির্পোট তৈরী করতে শাল্লা থানায় নিয়ে আসা হয়। এ খবরে নিহতের স্বজনদের মাঝে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন ৩জন স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হলেও মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নিখোজঁ নারী র্দূলভ রানী দাসের লাশ মাউতি বিলে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নিখোঁজ আরো দুটি শিশুর লাশ উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রযেছে।