রফিকুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার::গত চারদিনের টানা বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজারের সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি, কালিউরি, খাসিয়ামারাসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উপচে পড়া পানিতে হাওড়, খাল-বিল ও মাঠঘাট ভরে গিয়ে প্লাবিত হয়ে পড়েছেদোয়ারাবাজার উপজেলা সদর হাসপাতালের সামনে, ছাতক-দোয়ারা সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ও ৯টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা। উপচেপড়া স্রোতে সুরমা ইউনিয়নের রাবারড্যাম সংলগ্ন খাসিয়ামারা নদীর উভয় তীরের রাস্তা গড়িয়ে হু হু করে পানি ঢুকায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়াসহ ঢলের তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে রবিশস্যসহ শত শত হেক্টর আমনের বীজতলা। শঙ্কিত রয়েছেন উপজেলার শতাধিক মাছচাষি খামার মালিকরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সুনামগঞ্জের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরো কয়েকদিন ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জেলার সকল উপজেলা অচিরেই বন্যা উপদ্রুত হওয়ার আশঙ্কা বিদ্যমান বলে তিনি জানান।
দোয়ারাবাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ মোর্শেদ মিশু জানান, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, ত্রাণ বিতরণ ও জরুরি ক্ষেত্রে বন্যা মোকাবেলায় মনিটরিং সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
