মাধবপুর প্রতিনিধি::হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম ও এসআই রতন লাল দেবের বিরুদ্ধে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ মসিকে মিথ্যা মামলা দায়ের ও আদালতে বিতর্কিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের এলাকার একটি জিডিতে ঘটনায় মুজাহিদ মসিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখিয়ে নাশকাতাকারী বানিয়ে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করেন এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম।স্থানীয় সাংবাদিক নাহিদা আক্তার পপি জানাচ্ছিলেন,ওই দিন মুজাহিদ মসিসহ আমরা সাংবাদিকরা মাধবপুর উপজেলায় এশিয়ান টিভির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান পরিচালনায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলাম।পুলিশ কর্তৃক স্থানীয় একটি নাশকতার ঘটনায় তাকে জড়িয়ে ভুয়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা গুরুতর অন্যায় হয়েছে।অভিযোগের দাবীকৃত জখমীও জানায়,মুজাহিদ মসির ওই ঘটনায় কোন সংস্লিষ্টতা নেই।
গত ৪ জুলাই ওই সাংবাদিক হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে সমনের জবাব দিয়ে আসেন। গতকাল ৬ জুলার মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবে সহকর্মীদের সামনে দুঃখভরা কন্ঠে জানান পুলিশের দুই এসআই কর্তৃক তাকে হয়রানির কথা ওই প্রেসক্লাবেরই সদস্য সচিব পদে থাকা ওই সাংবাদিক।সেই সাথে তিনি বলেন,যেসব ঘটনায় তাকে একাধিক মামলার আসামি করা হচ্ছে ওই সময়ে তিনি কোথায় ছিলেন তার যথেষ্ট প্রমাণ তার কাছে।
এ ব্যাপারে এসআই মঞ্জুরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা ও প্রতিবেদনে তিনি কোন নিরপেক্ষ সাক্ষী আছে কি না ও ঘটনাস্থলে মুজাহিদ মাসে উপস্থিত ছিলেন কিনা? জবাবে তিনি বলেন এটা তেমন কোন গুরতর বিষয় না এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে।তার তো আর জেল ফাসি হয়ে যাচ্ছে না।তিনি এ বিষয়ে কোন নিউজ না করার অনুরোধও জানায়।
আরো জানা যায়,এর আগে আরেকটি মারামারির মামলায় মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রতন লাল দেব বিনা তদন্তে ওই সাংবাদিককে আসামী দিয়ে গ্রেপ্তার করে। গত ১ জুন ২০২৩ তারিখে ওই এসআই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সেখানেও তাকে দোষী বানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয় ওই এসআই।
অনুসন্ধানে যায় জানা যায়,ওই ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মারামারি বন্ধ করেছিল ওই সাংবাদিক। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার ও মাধবপুরের ইউএনওকে ওই ঘটনা অবগত করিয়েছিলেন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখিয়ে ঐ এলাকার মানুষও জানাচ্ছেন সেসব কথা।কিন্তু উল্টো তাকে আসামী করে মামলা দেয়ায় হতবাক হয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
সদ্য বদলিকৃত স্থানীয় মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রতন লাল দেব বলেন,মুজাহিদ মসিকে গ্রেপ্তার ও এফআইআরের আসামি আমি করিনি আমি শুধুমাত্র ওসি স্যারের নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালন করেছি।ঘটনার সময় চার্জশিটে সত্য ঘটনা তুলে আসবে বলে জানিয়েছেন ওই এসআই।
সদ্য দাখিলকৃত ওই চার্জশীটে কেন মুজাহিদ মসিকে কেন জড়ানো হলো এই প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সঠিক জবাব দেন নি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুজাহিদ মসি বলেন,ঘটনার ভিতরের ঘটনা, নানান অনিয়ম ও কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মাদক সংশ্লিষ্টতা ও ঘুষ নিয়ে ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপন ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্য দেয়ার কারনে এরা আমার উপরে ক্ষিপ্ত থাকে। অভিযোগের তদন্তের কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।আমাকে বারবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার দাবি করছি।
মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাবিবুর রহমান জয় বলেন,অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে প্রতিবেদন নির্মানে উপজেলায় মুজাহিদ মসির নাম সবার আগে। তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মামলায় আসামী করা ও হয়রানি পুলিশের জন্য কলঙ্কজনক বিষয়।
এটিএন বাংলা হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল হালিম জানায়,মাধবপুরের সাংবাদিকরা মতপ্রকাশ ও পেশাদারিত্বের কাজ ঠিকমত করতে পারছে না।মুজাহিদ মসিকে পুলিশের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা জড়িয়ে দেয়ার বিষয়টা জরুরি ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে মাধবপুর-চুনারঘাট সার্কেলের এসপি নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য ও মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন উত্তর জানান নি।