সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বীন ইসলামর পক্ষে আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে আজ রবিবার (১৬ জুলাই) প্রতিপক্ষ মালদার মিয়া গোষ্ঠির ৬৯ জনকে বিবাদী করে শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলা হওয়ার আগে থানা পুলিশ বিভেন্ন জায়গাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের ১৮ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার(৭ জুলাই) হাসনাবাজ জামে মসজিদে জুমা’র নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি কাঠাল নিলাম নিয়ে মালদার মিয়া গোষ্ঠির বিবাদী শেখ ফরিদ ও দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির সাক্ষী আনার উদ্দিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ডাকাডাকি শুরু হলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। ঘটনার সময় বিবাদী শেখ ফরিদ অধিক দামে কাঠাল ক্রয় করার আক্রোশে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির লোকজনদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে চলে যায়। উক্ত ঘটনার জেরে গত সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১১ টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে দুই গোষ্ঠির মধ্যে দেশীয় হাতিয়ার নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হলে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির হাসনাবাজ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) ও মালদার মিয়া গোষ্ঠির আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫) নিহত হন। হাসনাবাজ গ্রামে দুই গোষ্ঠির মারামারিতে ৩ জন নিহত হওয়ার ৬ দিন পর দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদীয়ে মালদার মিয়া গোষ্ঠির ৬৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী জানান, নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছেন। মামলা রুজু করা হয়েছে। অপরপক্ষও একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন।মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।