
সম্প্রতি দোয়ারাবাজার উপজলার নরসিংপুর ইউনিয়ন’র পূর্বচাইরগাঁও গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে সনদপত্র দষ্ট ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অন্ধ শামসুন নাহার’র প্রথম স্বামী একই গ্রাম’র মারফত আলী ১৯৮৪ সাল’র ২৬ নভেম্বর মাঁরা যান। পরবর্তীতে পরকিয়ার জেরে একই গ্রামর সফির উদ্দিন ওরফে সফুর উদ্দিনর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। পরে ১৯৯০ সালের ৪ মার্চ তার গর্ভে জন্ম নেয় দ্বিতীয় স্বামী সফুর উদ্দিনর ঔরশজাত সন্তান মোঃ দুলাল মিয়া (ভোটার আইডি কার্ড নম্বর ২৮০৪৪৩৮৬৬৭ মত)। তার জন্মর কিছুদিন পর পিতা সফির উদ্দিন ওরফে সফুর উদ্দিন বিদেশে চলে যায় ও সেখানেই তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই চলে মা-ছেলের ওপর অমানবিক নির্যাতন। মা শামসুন নাহারকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে মেনে নিলেও দুলালকে সফুর উদ্দিনর পুত্র হিসাবে মেনে নেয়নি প্রতিপক্ষর সদস্যরা। এদিকে শামসুন নাহার’র দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর সত্তর বয়সী সতিনসহ ওই পরিবারের সদস্যদর অমানবিক নির্যাতন আর অপচিকিৎসায় তার চোঁখ দুটি ক্রমশ অন্ধ হয়ে যায়। এসব নির্যাতনর জ্বালা সইতে না পরায় পরবর্তীত শিশুপুত্র দুলালকে নিয় অন্যার বাড়িতে আশ্রয় নেন অশীতিপর বৃদ্ধ শামসুন নাহার। খেয়ে না খেয়ে কাল পিঠ করে ছেলেকে কোনমতে কর্ম উপযাগী করে তুলেন। অপরদিকে সফুর উদ্দিনর মত্যুর পর তার বাবার -অধিকার ও সম্পত্তি থেকে মা-ছেলেকে বঞ্চিত করতে নানা ফাদ আটকে থাকেন প্রথম স্ত্রীর পক্ষর লোকজন। প্রথম স্ত্রী সুফিয়া বেগম’র দুই মেয়েসহ জামাতারা বিয়ের পর থেকেই ঘরজামাই হিসাবে শ্বশুর বাড়িত বসবাস করছেন বলে স্থানীয়রা জানান। অবশেষে দীর্ঘ প্রচষ্টার পর মা-ছেলেকে স্থানীয় শ্রীপুর মৌজার আরএস খতিয়ান-৪২৮, আরএস ১২৬৭ নং দাগ মৌজায় ৬৯ শতক আমন জমির দখল বুঝিয়া দেন স্থানীয় মাতবররা। কিছুদিন না যেতেই আবারো প্রতিপক্ষর দখলে চল যায় ওই জমিটুকু। এ বিষয়ে গত ২৪ জানুয়ারি প্রতিপক্ষের ৮’জন’র বিরুদ্ধে( ফ: কা: বি: ১৪৪ ধারার) বিধান মত সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর অভিযোগ দেন শামসুন নাহার।
এছাড়াও বিগত সেটেলমেন্ট জরীপ মা-ছেলেকে বাদ দিয়ে একই মৌজার বিভিন দাগ মৌজার ৩ একর ৬ শতক জমি হারাহারি অংশ রেকর্ড করিয়া নেওয়া হয় মৃত ছফির উদ্দিন ও তার প্রথম স্ত্রী সুফিয়া বেগমের নামে। যা সম্পূর্ণ অযুক্তিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড। এমতাবস্থায় সুষ্ঠ তদন্ত সাপক্ষে ফরাইজি হিস্যা অনুযায়ী স্বামী ও পিতাহারা স্ত্রী সন্তানদের প্রাপ্য বাবার অধিকার ও সম্পদ ফিরে পেতে প্রশাসনর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অন্ধ শামসুন নাহার।