বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে একটি দোকান ঘরে একদল দূর্বৃত্তের হামলায় উপর্যপুরি ছুরিঘাতে আপন দুই ভাই আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, জুয়েল মিয়া (২৮) ও জুবায়ের মিয়া (২৪)। তারা উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বানিউন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের পুত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জগন্নাথপুর থানার পুলিশ ও ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত জুয়েলের অবস্থা আশংকাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বানিউন গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দীনের পুত্র লন্ডন প্রবাসী জায়দুুল ও জমাদুলের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এতে সায়কুলের পক্ষে রয়েছেন তার শ্যালক স্থানীয় লতিবপুর গ্রামের সামছদ্দিনের পুত্র ফরিদ মিয়া গং ও জমাদুলের পক্ষে তার চাচাতো ভাই জুয়েল ও জোবায়ের।
বিষয়টি গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় মীমালসার লক্ষে স্থানীয় মুরব্বিয়ানের উপস্থিতিতে সায়কুলের ইনাতগঞ্জ বাজারের বাসায় শালিস বৈঠক বসে। বৈঠকে ফরিদ ও জোবায়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সন্ধায় উভয় পক্ষকে নিয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ফাঁড়িতে বসেন। অনেক আলাপ আলোচনার পর আগামী মঙ্গলবার শালিস বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়। এতে উভয় পক্ষ যাহাতে দাঙ্গা হাঙ্গামায় না জরান এর জন্য ফাড়ির ইনচার্জ লিখিত রাখেন। পরে জুয়েল ও তার ভাই জোবায়ের ফাঁড়ি থেকে মটর সাইকেলযোগে বাড়ী যাওয়ার পথে ইনাতগঞ্জ বাজারে ফরিদের নেতৃত্বে সহিবুর, নুরকাছ, সামাদ সহ আরো কয়েকজন দাড়ালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে দু ভাই জীবন বাঁচাতে ইনাতগঞ্জ বাজার ঝোমা ষ্টোরে আশ্রয় নেয়। হামলাকারীরা ঝোমা ষ্টোরে ডুকে তাদেরকে ফিল্মি ষ্টাইলে শত শত মানুষের সামনে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে বীর দর্পে চলে যায়। উপস্থিত অনেকেই জানান, এ ধরনের হামলা ইনাতগঞ্জে এই প্রথম এবং মধ্যেযুগিয় কায়দায় হামলা হয়েছে। আহত জুয়েলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১০/১২ টি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল ইনাতগঞ্জ বাজার হলেও ভৌগোলিক কারনে ঘটনাস্থল জগন্নাথপুর হওয়ায় খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস.আই মিজান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে আসেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে এস.আই মিজান জানান, এখনো মামলা হয়নি। তবে, হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।