সিলেটপোস্ট ডেস্ক::বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে বার বার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। দেশে তার সুচিকিৎসা সম্ভব নয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। তারা এখন বেগম জিয়াকে ছাড়া দেশে একতরফা নীশিরারাতের আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। বেগম জিয়াকে রেখে দেশে কোন এক তরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।
শনিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠে আয়োজিত সবাবেশে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্ব, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আহমদ, সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ও নির্যাতিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ থাকাবস্থায়ও সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। শুধুমাত্র বেগম জিয়াই নন, দেশের সাধারণ মানুষ আজ নির্যাতিত। দেশবাসী নিজেদের ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে এউ সরকারের পতন নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্টা করা না হলে দেশ এই সংকট থেকে মুক্ত হবে না।
পদযাত্রা কর্মসূচিটি রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সোবহানীঘাট পয়েন্ট গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনতা অংশ নেন।