সংবাদ শিরোনাম
শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না : রিজভী  » «   সাংবাদিক বাবর’কে দেখতে হাসপাতালে সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ  » «   সাবেক এমপি মানিকের চাচাত ভাই আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল গ্রেফতার  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশের অভিযান  » «   মাংস থেকে তীব্র দুর্গন্ধ, তোপের মুখে সিলেটের সুলতান’স ডাইন(ভিডিও সহ)  » «   গোয়াইনঘাটে মুজিব নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ  » «   পুলিশে এবার আসছে উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগেরও বড় বিজ্ঞপ্তি  » «   ৪,২০০ কনস্টেবল নিয়োগ,সিলেট সহ ৬৪ জেলায় কত জন শূন্য পদে নিয়োগ নেওয়া হবে  » «   ধর্মপাশায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুনে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু  » «   গোয়াইনঘাটে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ  » «   সিলেটের স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোর করে লিখিয়ে নেয়ার অভিযোগে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা  » «   কানাডা থেকে দেশে ফিরেই আটক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ  » «   ছাতকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সাথে অশোভন আচরণে অভিযোগ  » «   অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস  » «   শিক্ষা ক্ষেত্রে অতীতের নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে : কাইয়ুম চৌধুরী  » «  

সিলেটে ইসলামী ছাত্র মজলিসের বিক্ষোভ

সিলেটপোস্ট ডেস্ক::ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক হিজাব নিষিদ্ধ ও হাফেজ রেজাউল হত্যার বিচার দাবিতে সিলেটে ইসলামী ছাত্র মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে কামরান চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ জোন পরিচালক সাইফুল ইসলাম জলিল বলেন, সরকারের ইসলামবিরোধী অবস্থানের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ইসলামবিদ্বেষী কিছু শিক্ষক ইসলাম প্রিয় শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করছে।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিকাব পরে ভাইভা দিতে আসায় কয়েকজন ছাত্রীকে হেনস্থা করে নিকাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে। এক ছাত্রী নিকাব খুলতে অস্বীকার করায় তার ভাইভা নেওয়া হয়নি। এ অসভ্যতা শুধু বেআইনিই নয়; বরং সুস্পষ্ট সংবিধান ও ধর্ম অবমাননা।

এ অপকর্মের পর দায়িত্বহীন শিক্ষক অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন বলেছেন, ‘‘যারা পর্দা করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে বাসায় থেকে পড়াশোনা করা উচিত’’। তার এই উদ্ধতপূর্ণ বক্তব্যে জাতি বিস্মিত ও চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

তার এ বক্তব্য আইন ও সংবিধানবিরোধী। যথাযথভাবে ধর্ম পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংবিধানস্বীকৃত।

আমরা এ নীতিহীন শিক্ষককে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় আপনার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। তা ছাড়া পর্দানশিন শিক্ষার্থীরা আপনার বা কারো দয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি; বরং হাজার হাজার মেধাবীর সাথে প্রতিযোগিতা করে তারা মেধা ও যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখানে পড়াশোনা করছে।

সুতরাং পর্দানশিন শিক্ষার্থীদের ওপর নিজের বিকৃত ইচ্ছা প্রতিফল করার কোনো অধিকার এসব শিক্ষকদের নেই; বরং সংখ্যাঘরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশে সংবিধানস্বীকৃত ধর্মীয় অধিকার যদি এসব ইসলামবিরোধী শিক্ষকদের সহ্য না হয়, তাহলে তাদেরই উচিত শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে ছেড়ে দেওয়া। আমরা এই অসভ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এর আগেও ঢাবিতে পর্দানশিন শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা হয়েছে। ছাত্রীরা রাজপথে তার প্রতিবাদ ও দাবি পেশ করেছে। তখন তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আশ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু বারবার ঢাবিতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে কিছু ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষক। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম নার্সিং ইন্সটিটিউট, ঢাকার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, মতিঝিল মডেল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়।

পর্দানশিন ছাত্রীদের হেনস্থা করা হয়। জনগণ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেও সরকারের তরফ থেকে রহস্যজনক নীরবতা দেখা গেছে। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদেই এই ইসলামবিদ্বেষ কী না? তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি গত ২৮ জুলাই ঢাকায় আওয়ামিলীগের অঙ্গ-সংগঠনগুলোর শান্তি সমাবেশে যাত্রাবাড়ী মাদরাসার ছাত্র রেজাউল করিম নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন বিচারিক কার্যক্রম শুরু না হওয়া স্পষ্ট আইনের শাসনের ব্যত্যয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সুতরাং অবিলম্বে হিজাব-নিকাব বিরোধিতাসহ সকল ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ঢাবিসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাববিরোধী শিক্ষকদেরকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিতে হবে এবং অচিরেই রেজাউল করিম হত্যার বিচারের কার্যক্রম শুরু করতে হবে ।অন্যথায় ছাত্রজনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস, অনুভূতি এবং ঈমান-আকিদায় একের পর এক আঘাত করতে থাকলে সৃষ্ট পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সিলেট মহানগর সভাপতি লিটন আহমদ জুম্মান এর সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি মোস্তফা আহমদ সোহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি ডা: ফয়জুল হক, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবি সভাপতি জাকারিয়া হোসাইন জাকির, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি রুহুল আমীন, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান।

অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের শাবিপ্রবি শাখা সেক্রেটারি হোসাইন আহমদ, সিলেট পূর্ব জেলা সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান খান, পশ্চিম জেলা সেক্রেটারি মো:আজমল হোসেন, সিলেট মহানগর অফিস ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান রায়হান, প্রশিক্ষণ ও মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক সাজিদুর রহমান, কোতোয়ালী পশ্চিম থানা সভাপতি আব্দুল মুকিত, মাদ্রাসা  বিভাগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সভাপতি আব্দুল বাসিত, এম সি কলেজ সেক্রেটারি আহমদ সালমান, মদন মোহন সেক্রেটারি মিসবাহ আহমদ জয় প্রমুখ।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.