সিলেটপোস্ট ডেস্ক::বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেছেন- দেশ ও জাতি ইতিহাসের চরম এক ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। ফ্যাসিবাদী শাসনে অতিষ্ঠ মানুষ বাকশালী সরকারের হাত থেকে মুক্তির প্রহর গুণছে। দেশের যে কোন ক্রান্তিকালে ছাত্রসমাজের গৌরবোজ্জল ইতিহাস রয়েছে। জাতির এই কঠিন সময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষেরর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছাত্রশিবির ঘরে থাকতে পারেনা। অবিলম্বে সরকারকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত ৭ দফা দাবী মেনে নিতে হবে।
তিনি বলেন-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার পূণবর্হাল করে ক্ষমতাসীন সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ কারান্তরীণ সকল আলেম-উলামা ও রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। গুমকৃত নেতাকর্মীদের অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। পাতানো নির্বাচনের পথ থেকে সরকারকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। অন্যথায় ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিত করেই ছাত্রশিবির ঘরে ফিরবে।
তিনি বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ দফা দাবীতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর আয়োজিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি সিদ্দিক আহমদের সভাপতিত্বে মিছিলটি নগরীর প্রাণকেন্দ্র আম্বরখানা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে সিদ্দিক আহমদ বলেন- পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে, গ্রেফতার করে, নির্যাতন চালিয়ে পৃথিবীর সকল আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায়, ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের স্তব্ধ করা যায় না। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইতিহাস রক্ত দেয়ার, ছাত্রশিবিরের ইতিহাস শাহাদাতের ইতিহাস।তিনি আরো বলেন ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত, কেয়ারটেকার সরকারের অধিনে নির্বাচন, জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি, সকল অন্যায় অপকর্ম ও জুলুমের অবসান ঘটাতে ইসলামী ছাত্রশিবির অতিতের ন্যায় আগামীতেও রাজপথে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
সিলেট মহানগর সেক্রেটারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি, সিলেট জেলা পশ্চিম, জেলা পূর্ব, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলা, মৌলভীবাজার শহর, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতিবৃন্দ সহ হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।