সিলেটপোস্ট ডেস্ক::মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সিলেটের এক হাফিজে কোরআন। থানায় অভিযোগ দিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। বিচার বঞ্চিত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীন তিনি। আটকে গেছে তার ও তার স্বজনদের জীবন চালিকা। বাধ্য হয়ে কামনা করেছেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ। সেই হাফিজে কোরআনের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট থানার শিবনগরে। ভুক্তভোগী হাফিজ কামাল উদ্দিন ওই গ্রামের মরহুম হাফিজ তাহির আলীর পুত্র।
তিনি বর্তমানে সিলট নগরের ভার্থখলা মাদ্রাসায় অবস্থান করেন।হাফিজ কামাল উদ্দিন সোমবার (১৬অক্টোবর) সিলেটের পলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়ে এ ঘটনার আশু প্রতিকার চেয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, হাফিজ কামাল উদ্দিনকে বৈধ ভিসা দিয়ে ইউরোপের দেশ পর্তগালে পাঠানো চুক্তি করে মানবপাচার চক্রের সদস্য সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার পান্তমাই গ্রামের আব্দুর রশিদ লাল ও তার স্ত্রী হাফিজা বেগম। আব্দুর রশিদ লাল পান্তমাই গ্রামের আব্দুশ শুকুরের পুত্র ও আরব আমিরাতের দুবাই প্রবাসী।
আব্দুর রশিদ তার স্ত্রী হাফিজার মাধ্যমে পর্তুগাল পাঠানোর নামে হাফিজ কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহন করে। পরে হাফিজ কামালকে তার কাছে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে পর্তুগাল না পঠিয়ে তার উপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ হাফিজ কামালকে হত্যা করে সাগরে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করে। সুযোগ নিয়ে প্রাণে বেঁচে দেশে ফিরে আসেন হাফেজ কামাল।
সম্প্রতি আব্দর রশিদ লাল দেশে আসলে হাফিজ কামাল তার দেওয়া ফেরত চাইতে গত ৮সেপ্টেম্বর আব্দুর রশিদ লাল-এর বাড়িতে যান। এ সময় আব্দুর রশিদ লাল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং দলবল নিয়ে তাকে মারপিট করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় হাফিজ কামাল সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত দেওয়া হয় থানার এসআই আক্তারুজ্জামানকে। এসআই আক্তারুজ্জামান দীর্ঘপ্রায় ১মাস ঘুরিয়ে অভিযোগ আমলে না নিয়ে হফিজ কামালকে হামলা-মালার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন।
হাফিজ কামালের অভিযোগ-মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গেয়াইনঘাট থানা পুলিশ তার অভিযোগ আমলে না নিয় ফেলে দেয়। বাধ্য হয়ে হাফিজ কামাল উদ্দিন সোমবার (১৬ অক্টোবর) সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে তিনি মানবপাচার চক্রের সদস্য আব্দুর রশিদ লাল ও তার স্ত্রী হাফিজা বেগমের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দানের আবেদন জানান।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডকেট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।