সিলেটপোস্ট ডেস্ক::ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে সরকার দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশের যৌথ হামলার এবং রোববারের সকাল সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৮টা দিকে পুলিশ যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে
গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জিলু আহমদ দিলু মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এসময় একদল পুলিশ তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান দিয়ে তার মোটরসাইল চাপা দেয়। এর পর তাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এর পর বেলা দুইটার দিকে আমরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পারি। যেহেতু পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায় সেহেতু পুলিশই এজন উদীয়মান ও নিবেদিতপ্রাণ যুবনেতাকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করি।
এদিকে, এই ন্যাক্ষারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিহত জিলুর মৃত্যুতে গভীর শোক, দুঃখ ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিকামী জনতা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সরকার জনতার ন্যায্য দাবীর এই আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। যে জিলু সকাল বেলায়ও দেশের মানুষের দাবী আদার করার জন্য রাজপথে নেমেছিলেন, বিকেলে তাকে লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হচ্ছে। এভাবে তো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। এই সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করার বিকল্প নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যুবদল নেতা জিলু আহমদ দিলু আজীবন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। তিনি দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজের জীবন উৎসর্গ করে প্রমাণ করে গিয়েছেন যে, তিনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমীক। এখন সময় এসেছে, শহীদ জিলুর রক্ত ছুঁয়ে আমাদের শপথ নিতে হবে, স্বৈরাচার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। গণতন্ত্র রক্ষার এই লড়াইয়ে শহীদ জিলুর নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।