সিলেটপোস্ট ডেস্ক::ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও সরকার দলের সন্ত্রাসীদের সম্মিলিত হামলার প্রতিবাদে ও সরকার পতনের একদফা দাবীতে চলমান অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে এবং দক্ষিণ সুরমায় পুলিশী হেফাজতে যুবদল নেতা জিলু আহমদ দিলুর মৃত্যুর প্রতিবাদে যুবদলের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারী দল ও পুলিশের সম্মিলিত হামলা, হামলায় ছাত্রদলের তিন নেতা সহ অন্তত ১০জন আহত এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামের চুড়ান্ত কর্মসূচি হচ্ছে হরতাল-অবরোধ। স্বাধীন দেশে জনগনের ন্যায্য দাবী নিয়ে আন্দোলন ও সংগ্রাম করা সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আজ বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্রদলের মিছিলে সম্পূর্ণ বিনা উষ্কানিতে পুলিশকে সাথে নিয়ে সরকার দলের সন্ত্রাসীরা নিরীহ কর্মীদের উপর যে নগ্ন হামলা চালিয়েছে তা সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতিতে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। একদিকে, পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে সরকার দলের ক্যাডাররা লাঠি হাতে উষ্কানি দিচ্ছে, অন্যদিক পুলিশ আমাদের নিরীহ নিরস্ত্র অন্তত ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। অবৈধ ক্ষমতা দলে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে এমন নগ্নভাবে ব্যবহার খুবই উদ্বেগজনক।
জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িত সরকার দলের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার এবং গ্রেফতারকৃত বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
পাশাপাশি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, এর অন্তর্গত সকল ইউনিট এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই চুড়ান্ত লড়াইয়ে রাজপথে থেকে হরতাল-অবরোধ সহ সকল কর্মসূচিকে সফল করার আহবান জানান।