আব্দুল জাহির মিয়া চুনারুঘাট প্রতিনিধি::চুনারুঘাটের চা বাগান বেষ্টিত চন্ডীছড়ায় চা খাওয়ার নাম করে মাদক গ্রহন সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এ সমস্ত কাজে তরুণ ও উঠতি বয়সের ছেলেরা জড়িত।
স্থানীয়দের তথ্য মতে,চন্ডীর মাজারের পশ্চিম দিকে,দিপক স্টোরের দক্ষিণে দিকে উচু চা বাগানের টিলার উপরে এ সমস্ত কার্যকলাপ ঘটে চলেছে। এবং চন্ডী মাজারের পশ্চিম দিকে চা বাগানের উচু টিলায় এমন কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়তই চলছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ,সহ দূরদূরান্ত থেকে ও যেমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব, থেকে যুবকরা এসে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা বলেন, ছেলেরা মটর সাইকেল করে চন্ডী মোড়ে চা খাওয়ার নাম করে এসে আশপাশের টিলাতে চলে যায়। তারা ওইখানে গিয়েই মূলত এ সমস্ত কাজগুলো করে।
সরোজমিনে এলাকা ঘুরে ফেন্সিডিল ও মদের প্রচুর পরিমাণে বোতল মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি পাওয়া গেছে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের চিহ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,চুনারুঘাটের বিশিষ্ট নাগরিকেরা সমাধান ধর্মী বক্তব্য দিয়েছেন। চুনারুঘাটর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সমাজ সেবক কামরুল ইসলাম বলেন,পুলিশের তৎপরতা প্রয়োজন। পুলিশ ওই পয়েন্টগুলোতে তৎপরতার সাথে অভিযান চালালে এটি নির্মূল সম্ভব৷ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সুহেল আরমান ধারণা করে বলেন এখানে অতি সহজেই মাদকদ্রব্য ক্রয় করা যায় বিদায় এখানে বাহিরের উপজেলার যুবকরা এসে মাদকাসক্ত হয়,এখানে কে বা কারা এগুলো ক্রয় বিক্রয় করে সেটি তদন্ত করে বের করতে পারলে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চুনারুঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সাজিদুল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ দরকার।
চুনারুঘাটের সামাজিক -সাংস্কৃতিক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সাইফুর রাব্বি বলেন,এগুলো কিভাবে হচ্ছে, কারা করছে? সবকিছু খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এমনিতেই এক প্রকার অসুস্থতা কাজ করছে। এগুলো নির্মুলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ করার প্রয়োজন আছে।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হক বলেন আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং এখানে টহল টিম প্রেরণ করব অপরিচিত যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।