মীর শোয়েব :: জৈন্তাপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের আক্রমণে হাফেজ মো আব্দুস শুক্কুর (৬০) নামক এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ( ২৪শে নভেম্বর) সকাল ৯ ঘটিকার সময় উপজেলার ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দলইপাড়া নামক গ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত হাফেজ আব্দুস শুক্কুর দলইপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালিকের পুত্র। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা আব্দুস শুক্কুস বর্তমানে সিলেট নগরীর শাহ পরাণ এলাকার জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া শাহপরান মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।
নিহত হাফেজ আব্দুস শুক্কুরের সাথে স্হানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন মেম্বারের বোন জামাতা হাজীর আলি (৫৫) ও ভাগিনা নজরুল ইসলাম (৩৫) ও বদরুল ইসলামের (৩০) জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।
জমিসংক্রান্ত এই বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান ছিলো। স্হানীয় শালিস পর্যায়ে একাধিক বার ইউপি চেয়ারম্যান ও গ
ন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চাইলেও হাজীর আলির পরিবারের অনুস্হিতির কারণে তা নিস্পত্তি করা সম্ভব হয় নি।
পুলিশ জানায় শুক্রবার সকালে নিহত হাফেজ আব্দুস শুক্কুর তার নিজের জমিতে আনারসের চারা রোপনকালে প্রতিবেশী হাজীর আলি এসে বাঁধা প্রদান করলে তাতে বাকবিতন্ডা বাঁধে। এ পর্যায়ে হাজীর আলি ও তার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর সংঘবদ্ধ আক্রমণ করলে তিনি মারাত্মক আহত হন।
এ সময় স্হানীয় ব্যাক্তিবর্গের সহায়তায় তাকে দ্রূত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এ এস পি (কানাইঘাট সার্কেল) অলকশর্মা জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশের টিম।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। নিহতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্হা প্রক্রিয়াধীন।