সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও বিএনপি থেকে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকুস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
জানাযায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দরা,আওয়ামীলীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দরা একাকার হয়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,আওয়ামীলীগ নেতা এড. পীর মতিউর রহমান,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন,জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন,সাধারন সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুল,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ,জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এড. মল্লিক মইনুদ্দিন সুহেল,নাদীর আহমদ,মোঃ ফারুক আহমদ,এড. শেরেনুর আলী,আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত,জেলা বিএনপি নেতা রাকিবুল ইসলাম দিলু,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ,বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর দাস,আসাদুজ্জামান সেন্টু,অমল কান্তি কর,যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব ফজলে রাব্বী স্মরণ,সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. বুরহান উদ্দিন দোলন,জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম আহমদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সামছুজ্জামান,সাধারন সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন,জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক এড. মামুনুর রশিদ কয়েছ ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন,মমিনুল হক কালারচাঁন,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান চৌধুরী রাসেল,শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম,সদস্য সচিব তারেক মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য এই বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন বৃহস্পতিবার ভোররাতে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অনেক ঘুনগ্রাহি রেখে যান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ট্যােিকরঘাট সাব সেক্টরের সহকারী অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন।
তিনি ১৯৯১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিতে যোগদান করেন।
পরে ১৯৯৬ সালে ঐ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ২০০২ সালে তিনি আরো মোট তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।