সিলেটপোস্ট ডেস্ক::শহিদ জননী জাহানারা ইমাম আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন, তিনি আমাদেরকে সাহসী হতে শিখিয়েছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল গোলাম আযম নিজামীসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছিলো অগ্রণী ভুমিকা। উনিশ বিরান্নব্বই সালে যখন বিএনপি জামায়াত সরকার ছিলো সেই সময় জীবনকে বাজি রেখে ঘাতক দালাল নিমুল কমিটি গঠন করেছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই একজন মা তার সন্তানকে যুদ্ধে পাঠাতে ভয় পান, কিন্তু সেক্ষেত্রে জাহানারা ইমাম ছিলেন ব্যতিক্রম; তিনি তার সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট কিশোর কুমার কর-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারওয়ার সবুজ-এর পরিচালনায় শনিবার (৪ মে) মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জিন্দাবাজার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবতর্ী জুয়েল।
সভায় বক্তারা জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলো’ বইটি পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর শাখার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি মো: আব্দুল কাদির, এডভোকেট মো আনোয়ার হোসেন, সালাউদ্দিন বক্স সালাই, সাদিকুর রহমান সাদিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিন্টু কপালী, মো: ছয়েফ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সুহেল আহমদ কবির, নুরুল হুদা চৌধুরী কয়েছ, কোষাধ্যক্ষ মো: মানিক মিয়া, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহান আহমদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কালাম আহমদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সামাজিক যোগাযোগ (আইসিটি) সম্পাদক বদরুল ইসলাম বদরু, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বিপ্ল দাস বিশু বিক্রম, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জুয়েল, সদস্য গোলাম মৌলা চৌধুরী, মোঃ নুরুজ্জামান জুয়েল, শাহ হুমায়ুন কবির, শাহীন আহমদ, দীন বন্ধু পাল, ইঞ্জিনিয়ার রেজুয়ান আহমদ রাজু প্রমুখ ।