সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, স্মার্ট নাগরিক হতে হলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সিলেটে অতীতে এক সময় রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থা ছিল, সেখানে ছেলেদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করা হতো আর মেয়েদেরকে লেখাপড়ায় নিরুৎসাহিত করে রাখা হতো। এখন আর সেই সময় নেই, সিলেটে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা মেধার সাক্ষর রাখছে। তারা জ্ঞান, বিজ্ঞানে, তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকেও গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধু ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদেরকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি শনিবার (৮ জুন) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বাষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের গেইট, নিরাপত্তা দেয়ালসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও সাবেক কাউন্সিলর মো. আজম খান এর সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট সংগঠক আহমদ সমশের সিরাজ সোহেল এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল বাছিত, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ইকতার খান, ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছয়েফ খান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মির্জা দুলাল আহমদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম শিক্ষক বিধান রঞ্জন ধর, ডালিয়া শাহানা, বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ওয়ালিদুল হক ও সুকর্ণা দাস।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শওকত আলী, নমিতা রানী ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুলজার খান, আনোয়ার পারভেজ জাহাঙ্গীর, মঞ্জুর আলম খান, মুজিবুল হক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিপ্রা রানী রায়, কামরুন্নাহার, সপ্না পাল, দীপ্তা দে, কনিকা দেব, দীপংকর রায়, প্রশান্ত কুমার পাল, মাছুম আহমদ, মোশাররফ হোসেন, খালেদা আক্তার, শারমিন জাহান, শাহীনুর আক্তার ও বুশরা খানম।
অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত আলীয়াত আলবী ও গীতা পাঠ করেন শিক্ষার্থী মৌ রানী ঘোষ।মানপত্র পাঠ করেন মোমেনা আক্তার।