সিলেটপোস্ট ডেস্ক::শেখঘাটের আলোচিত প্রতারক ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ এবং তার ভাই শাহীন আহমদ জাল ডিডকে খাটি হিসাবে ব্যবহার করে ২২ লাখ টাকার প্রতারণা মামলায় কারাগারে।
গতকাল ৯ জুন আমেরিকা প্রবাসীর মামলায় জামিন নিতে গেলে শেখঘাট শুভেচ্ছা ২৫০ নং বাসার মৃত মুহিবুর রহমান পুত্র শামীম আহমেদ ও শাহীনুর রহমান শাহীন মাননীয় আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরন করেন।
উল্লেখ যে শামীম, শাহীন ও জায়েদ এবং শামীমের স্ত্রী রোকসানা বেগম মিলে জাল ডিড খাটি হিসাবে ব্যবহার করে প্রাইম ব্যাংক দরগা গেইট শাখা থেকে ২২ লাখ টাকা লোন নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। শেখঘাটের এক আমেরিকা প্রবাসীর রাইছ মিল এর নামে জাল ডিড সৃষ্টি করে এই জাল ডিড খাটি হিসাবে ব্যবহার করে প্রতারক শামীম আহমেদ তার আপন ভাই এবং স্ত্রী কে জামিনদার দিয়ে প্রাইম ব্যাংক থেকে ২২ লাখ টাকা লোন নিয়ে আর লোনটি পরিশোধ করেনি। অবশেষে আমেরিকা প্রবাসীর মামলায় কারাগারে গেলেন শামীম ও শাহীন। আদালত মহিলা হিসাবে বিবেচনা করে শামীমের স্ত্রী রোকসানাকে জামিন প্রদান করেন।
এর আগে ২০২২ সালে ২৯ মার্চ সিলেট মহানগর যুবলীগের অন্র্Íগত ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদের সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আবদুল মুমেন এই মামলা থাকে প্রথম বার কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ ২০২০২ সালের ১৬ মার্চ নগরীর শেখঘাট শুভেচ্ছা ২৯৭’র বাসিন্দা মৃত মম্বশির আলীর পুত্র আমেরিকা প্রবাসী র্ফরুখ আহমদ (মনির মিয়া)’র পক্ষে আজম আলী শেখঘাট শুভেচ্ছা ২৫০’র বাসিন্দা মৃত মুহিবুর রহমানের পুত্র ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালী থানায় চঁাদাবাজী ও জালিয়াতি এবং প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নগরীর শেখঘাট এলাকায় আমেরিকা প্রবাসী র্ফরুখ আহমদ’র মালিকাধিন একটি দোকান কোঠা আত্মসাতের উদ্যোশে যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারির একটি জাল ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা করেন। যা দিয়ে তিনি একটি ট্রেড লাইন্সেস, ফায়ার লাইন্সেস ও বিদ্যুতের লোড বাড়ানোর জন্য বিদ্যুতে অফিসে গিয়ে আবেদন করেন। এই ঘটনা জেনে আমেরিকার প্রবাসী র্ফরুখ আহমদ মামলাটি দায়ের করান।