বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-:ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্থতা। পশু কুরবানিতে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরি করছেন তারা।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামার শিল্পীরা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের। ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে।
এ ব্যাপারে কামার শিল্পীদের সাথে পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১শ থেকে ২শ দা, ৩শ থেকে ৫শ ৫০ টাকা, বটি ৩শ ৫০ থেকে ৬শ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫শ থেকে-১৩ হাজার টাকা, চাপাতি ৬শ থেকে ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামার শিল্পীরা আরো বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। তবে, এ ব্যাপারে ক্রেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। উপজেলার বোরহানপুর গ্রামের এনাম মিয়া বলেন, আমি একটি চাপাতি ৬শ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি। কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিয়েছি।
গত বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিষ শাণ দিতে মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে।
জানা যায়, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে, ঈদের দুদিন আগে বেশী বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী তারা। ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্যও বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৫শ থেকে ৫শ ৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৯শ থেকে ১হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দা’র দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়, লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লীর দোকান গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে।
উপজেলার প্রত্যন্ত আঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ও ব্যস্থ সময় পার করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে মাস খানেক আগে থেকেই তারা কাজ শুরু করেছেন। কাজের ব্যস্থতায় নি:শ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।