ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন ঝুঁকিতে ড্রাইক ও গ্রাম

সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২৪, ১:০৫ পূর্বাহ্ণওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতা::সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদী হতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের ভয়ে আতংকিত নদী পারের বাসিন্দার। এতে নদীর বাঁধ কাম সড়ক কুশিয়ারা ড্রাইক এর উপর দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে যানবাহনের মাধ্যমে বালু পরিবহনের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে কুশিয়ারা ড্রাইক।
উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী (উত্তর পাড়) এর সৈয়দপুর, সাদিপুর, তাজপুর, লামা তাজপুর, সুরিকোনা সহ বিপাকে আশ পাশের কয়েকটি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা। সিলেট- ঢাকা মহাসড়ক সংযোগ হতে লামা তাজপুর পর্যন্ত (পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এল.জি.ই.ডি) এর যৌথ মালিকানাধীন বাঁধ কাম কুশিয়ারা ড্রাইক সড়ক দিয়ে প্রায় ১২ টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
উক্ত রাস্তার পার্শে সৈয়দপুর গ্রামের পশ্চিম অংশে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একটি মহল অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে কয়েক লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে নদী পারের জমিতে উচু স্তুপ তৈরী করেছে।
এলাবাসীর নিষেধ অমান্য করে (পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এল.জি.ই.ডি) এর যৌথ মালিকানাধীন রাস্তাটির উপর দিয়ে বালু পরিবহন করছে। এতে বর্ষামৌসুমে কুশিয়ারা ড্রাইক ভেঙ্গে ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল বন্যা কবলীত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গত জানুয়ারীতে সমাপ্ত কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন রোধে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্প (উত্তর) এবং নদীর দক্ষিনে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে পানি সরবরাহ প্রকল্প ভেস্তে যাবে এতে জাতীয় পর্যায়ে বিদুৎ উৎপাদন ব্যহত হবে এবং কুশিয়ার নদীর উত্তর পাড়ে (ওসমানীনগর অংশ) পূর্বের ন্যায় তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিবে এবং তাজপুর, লামাতাজপুর, সৈয়দপুর সুরিকোনা গ্রাম তীব্র নদী ভাঙ্গনে নদী গর্বে বিলিন হওয়া আশংকা করছে এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এল.জি.ই.ডি এর যৌথ মালিকানাধীন বাঁধ কাম কুশিয়ারা ড্রাইক রাস্তাটি বর্তমানে দুই কিলোমিটার এলজিইডির অধীনে সড়ক কোড: নং- ৬৯১৯৬৪০৬২ পাকাকরন কাজ চলছে। উক্ত ড্রাইকের উপর দিয়ে অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীরা যানবাহন দিয়ে বালু পরিবহনে ফলে রাস্তাটি একেবারে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গত ৪ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একাদিক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপমা দাস বলেন এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ দেখে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন মালবাহী ট্রাক আসা যাওয়া নিয়ে কুশিয়ারা ড্রাইকের রাস্তা পাকা করণ কাজের লোকজনের সাথে সমস্যা হয়েছিল শুনেছি তবে এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে বড় বড় মালবাহী ট্রাক চলাচল নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
এলাকা বাসির পক্ষে জয়নাল মিয়া বলেন কুশিয়ারা ড্রাইক দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচলে বাঁধা দিলে এলাকার লোকজনকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা যে কোন সময় অপ্রতিকর সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে ।
সৈয়দ পুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন কুশিয়ারা নদী রক্ষা বাঁধ হতে প্রায় ১ শত ফুট দূরে বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে এতে নদীর কিনারে থাকা ব্লক গুলোর বিরাট ক্ষকি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বালু উত্তোলনের ও বালুবাহী ট্রাক চালনার মূলহোতা মুহিতের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান আমরা বৈধতার সাথে বালু উত্তোলন করেছি আপনারা নাজলু চৌধুরীর সাথে কথা বলেন । বালু পরিবহন কাজে আমাদের যানবাহন বর্তমানে বন্দ রয়েছে।