বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে ৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া সিলেটসহ বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের সদস্যদেরও অপসারণের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে ১৯ আগস্ট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরও অপসারণ করে সেগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এবার জেলা পরিষদের কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। কারণ ভোটের আগেই জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
ভোটে পরিষদের ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচিত হন ১ নম্বর ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) মাওলানা মো. মুছাদ্দিক আহমদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে (দক্ষিণ সুরমা উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (ফেঞ্চুগঞ্জ) আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (বালাগঞ্জ) আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসির উদ্দীন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর) আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (বিশ্বনাথ) উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে (গোলাপগঞ্জ) আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে (বিয়ানীবাজার) খসরুল হক খসরু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে (জৈন্তাপুর) মোহাম্মদ শাহজাহান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে (গোয়াইনঘাট) যুবলীগ নেতা সুবাস দাস, ১১ নম্বর ওয়ার্ড (কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আলী কালা মিয়া, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে (কানাইঘাট উপজেলা ও জকিগঞ্জের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (জকিগঞ্জ) ইফজাল আহমদ চৌধুরী।
এছাড়া ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন পাঁচ নারী সদস্য। তাঁরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে আমাতুজ জোহরা রওশন জেবিন রুবা, ২ নম্বর ওয়ার্ডে সুষমা সুলতানা রুহি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাসিনা বেগম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তামান্না আক্তার হেনা ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মনিজা বেগম।