সিলেটপোস্ট ডেস্ক::মাশরাফি বিন মুতর্জার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। তবে এটি রাজনৈতক কোনো মামলা নয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের দল (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোর করে লিখিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলাটি করেছেন দলটির সাবেক চেয়ারম্যান সারওয়ার চৌধুরী। মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের একটি সূত্র। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফিকে। বাদী সারওয়ারের দাবি, জোরপূর্বক তার কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
মাশরাফির কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরেক মালিক সারওয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে মালিকানা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে শুভ্র মাশরাফির বন্ধু ও সাবেক ক্রিকেটার। এই মামলায় মাশরাফী, শুভ্র, ছাড়াও আসামি করা হয়েছে মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাত (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কেএম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে। তবে মামলা হয়েছে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন শুভ্র। তিনি বলেন, ‘আমার এমন কোনোকিছু জানা নেই। মামলার বিষয়টি এখনই শুনলাম মাত্র। যিনি মামলা করেছেন তিনি সিলেট স্টাইকার্সের চেয়ারম্যান হলেও বিপিএলের কোনো ধরনের টাকা তিনি পরিষোধ করেননি। একপর্যায়ে তিনি টাকা দিতে না পেরে পদত্যাগপত্র দিয়ে চলে যান। তিনি তার রিজাইন লেটারটি বিসিবিকেও ই-মেল করেছেন। আমরা এখন তার এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করবো।’
উল্লেখ্য, মাশরাফির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী সারোয়ারের পরিচয় মামলার দুই নম্বর আসামি হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমে। দু’জনের আমন্ত্রণে বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সারওয়ার। এরপর ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন করেন সারওয়ার। ৬০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে যার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন মামলার ৩ নম্বর আসামি ইমাম হাসান।
এর আগে দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজার বিরুদ্ধে নড়াইলে আরও একটি মামলা হয়েছিল। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলা, গুলি ছোড়া ও মারধরের অভিযোগে করা এ মামলায় মাশরাফি ছাড়াও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ৯০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।