সিলেটপোস্ট ডেস্ক::হবিগঞ্জ কৃষি বিদ্যালয়ের (হকৃবি) নতুন উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আওয়ামীপন্থী দাবি করে হকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সিকৃবির সাদা দলেরব শিক্ষকবৃন্দ।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাঁকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। একই দিনের অপর আদেশে বর্তমান হকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল বাসেতকে অব্যাহতি দিয়ে মূলপদে যোগদানের জন্য বলা হয়।
এদিকে নবনিযুক্ত হকৃবি ভিসি ড. সায়েমের নিয়োগ নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাতে সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সিকৃবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ (গশিপের) সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, গশিপ মনোনীত প্যানেল থেকে সাদা দলকে ভয় দেখিয়ে বিনা প্রতিবন্ধিতায় নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ একজন কট্টর আওয়ামী সমর্থক।
তিনি পতিত সরকারের আমলে সিকৃবিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ভাইস-চ্যান্সেলরদের ব্যবহার করে সিকৃবিতে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির নজির স্থাপন করেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দানকারী প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদকে হকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা জুলাই-আগস্টের শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিয়োগ কোনো ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তারা অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ নিয়োগের পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জানতে চাইলে ২০২২ সালের সিকৃবির ভিসি প্রার্থী ও হকৃবির নতুন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পক্ষ সব সময়ই ভালো কিছু হলে সমালোচনা করে। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমি রাজনীতির চেয়ে শিক্ষকতা টাকে বেশি করেছি। রাজনীতিতে এতটা কখনই অ্যাকটিভ ছিলাম না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রিজওয়ানা হাসানের বাড়ি চুনারুঘাট, আমার বাড়ি সদরে। এগুলো সঠিক নয়।’