বালু মহাল খুলে দিতে বিভাগীয় কমিশনারের প্রতি আহবান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের

সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ণমীর শোয়েব আহমদ, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি::শুক্রবার (১১ই অক্টোবর) দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিনে দিনব্যাপী গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ সিদ্দিকী এনডিসি।
জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্ধ থাকা বালু মহালগুলো খুলে দিতে এবং বৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন স্হানীয় জনপ্রতিনিধি।
এদিন সকালে গোয়াইঘাটের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষ করে সন্ধ্যায় নিজপাট শ্রী শ্রী রামেশ্বর শিব মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের আসেন তিনি।
এ সময় পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে স্হানীয় ১ নং নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলি তার এক বক্তব্যে তিনি বালু মহাল খুলে দিতে অনুরোধ জানান।
এ সময় তিনি বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে জৈন্তাপুরে আপনাকে স্বাগতম। সেই সাথে জৈন্তাপুর উপজেলা তিনটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষের একটা প্রানের দাবী আপনার নিকট তুলে ধরা হলো।
তিনি বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় দুইটি পাহাড়ি নদী বড়গাঙ ও সারী নদী। এই দুইটি নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অর্ধশতাব্দীর বেশী সময় তিন পুরুষ ধরে বালু উত্তোলন ও বিক্রির কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো কয়েক হাজার শ্রমজীবী পরিবার।
কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে সারী-৩ সহ বিশাল একটি এলাকাজুড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ। যার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার শ্রমজীবী পরিবার।
অনেক সময় চুরি করে বালু উত্তোলন করতে গেলে প্রশাসনের অভিযানের কারণে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বেকার হাজারো শ্রমজীবী মানুষ বিকল্প কোন কাজ না পেয়ে চোরাকারবারি সহ অনৈতিক কাজে জড়ীয়ে পড়ছে।শুধু তা নায় বরং এসব কাজের ফলে অনেক শ্রমিক মামলায় জড়িয়ে জেল হাজত পর্যন্ত খাটতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর ঘন ঘন পাহাড়ি ঢলের ফলে প্রচুর বালু এসে নদীতে জমা হয়ে পড়েছে। যার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন সহ দুইপাড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হচ্ছে ভাঙনের। তাছাড়া বালু জমে থাকার ফলে পর্যটন মৌমুসে নদী শুকিয়ে নৌকা চলাচল করতে না পারায় লালাখাল পর্যটন স্পটে দিনদিন দর্শনার্থীদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
তিনি জৈন্তাপুরের এই কয়েক হাজার শ্রমজীবী পরিবারের কথা বিবেচনা করে বন্ধ থাকা এই বালু মহাল গুলো বৈধ উপায়ে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ সময় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলি খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মোহাম্মদ আল জুনায়েদ, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া, সহকারী কমিশনার ভুমি মিজ ফারজানা আক্তার লাবনী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসিম সহ সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও স্হানীয় সারী বালু মহালের ব্যবসায়ী ও বারকি শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।