সিলেটপোস্ট ডেস্ক::হাতিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুহিব বুল্লাহ এখন সিলেট সরকারী আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত আছেন। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতার বিরুদ্ধে কর্মস্থল ফাঁকি দেয়া নিয়ে এর আগে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে গঠিত হয়েছিল তদন্ত কমিটিও। খোঁজ নিয়ে মুহিব বুল্লাহর বিরুদ্ধে নান দুর্নীতি ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেট সরকারী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, এ সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র ০৮/০২/২০১১ইং তারিখে প্রদান করেছেন হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ এবং হাতিয়অ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. ওয়ালী উল্লাহ। এই সার্টফিকেটে উল্লেখ আছে ডা. মো. মুহিব বুল্লাহর পিতা হাজী আজিজুর রহমান ৪নং নলচিরাইউনিয়অন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং মুহিব বুল্লাহ একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
২০১১ সালে এই সার্টিফিকেট পাওয়ার পর থেকে মুহিব বুল্লাহকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছেন তিনি। ২২/১০/২০১১ তারিখে দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়ন প্রকল্পের মেডিকেল অফিসার থেকে একলাফে সরকারী তিব্বিয়া কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) পদে দখল করে ২, ৬৯,৯৬৮ টাকা অনিয়মিতভাবে উত্তোলন করেন যাহা স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের মো. আবুল বামার ( এসএএস সুপারিপেনডেন্ট) এর অডিট ইনসপেকশনের ধরা পড়ে এখনও নিষ্পত্তি বা পরিশোধ হয় নাই। এই অভিযোগ অনিষ্পন্ন থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডা. মো. মুহিব বুল্লাহকে তিব্বিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে মেডিকেল অফিসার, ঢাকা মিরপুরস্থ সরকারী ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে বদলি করেন ( স্বাঃঅধিঃ/হোঃদেঃচিঃ/ব্যক্তিগত/০৮/২০১১/৮২৮:তাং১৪/১১/২০১৩ইং) সরকারের এই আদেশ প্রতিপালন না করায় এবং আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও সাবেক সাংসদ ইউনানী বোর্ড চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক এর তদবিরে ডা. মো. মুহিব বুল্লাহ ( কোড নং ১০৬৭৮১) কে প্রভাষক পদে আবার আদেশ জারি করেন (স্বাঃঅধিঃ/হোঃদেঃচিঃ/ব্যক্তিগত/০৮/২০১১/৮৪৮ :তাং২৪/১১/২০১৩ইং)। এরপরও ডা. মো. মুহিব বুল্লাহর দলীয় প্রভাব থেমে থাকে নি। সরকারী তিব্বিয়া কেেলজে মেডিকেল অফিসার পদ এবং পদের আইড নম্বর ও স্থায়ী মেডিকেল অফিসার পদ না থাকা সত্ত্বেও চাকরি স্থায়ী করেন। ( স্মারকনং ৫৯.০০.০০০.১১১.১৫.০০১.১৮-২২২; তাং ১৮/০৯/২০২২) এবং সরকারী তিব্বিয়া কলেজে প্রভাষক (ইউনানী মেডিসিন) পদ স্থায়ী না থাকায় এবং আইড নম্বর না থাকা সত্ত্বেও একসাথে দুইটি উচ্চতর গ্রেড গ্রহণ করেছেন বিধি বহির্ভুত বলে (স্মারকনং ৫৯.০০.০০০.১১১.১৫.০০১.১৮-২৭৮; তাং ১০/১১/২০২২) ডা. মো. মুহিব উল্লাহর আইড কার্ড প্রেসক্রিপশন প্যাডে ব্যবহুত এমডি এবং ডিএসসি ডিগ্রিগুলো কোন একাডেমিক ডিগ্রি নয়। শ্রীলংকার কলেম্বোতে অবস্থিত ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফর কমপ্লিমেন্টারি হতে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেনস ১৯৯৪ সালে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে ২০০৭ সালে ঢাবি হতে বিইউএমএস ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন । দাখিল পরীক্ষা পাশ ছাড়াই ১৯৮০ সালে আলিম পাশ করেছেন। মার্সসিট ঘসামাঝা করে ১৯৮৭ সালে ডিইউএমএস পাশ করে দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়ন প্রকল্পে মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত ছিল প্রত্যেক সাবজেব্টে ৫০ শতাংশ মার্ক থাকতে হবে। কিন্তু মুহিব বুল্লাহর ডিইউএমএস কোর্সের প্রত্যেক সাবজেক্টে ৫০ শতাংশ মার্ক নেই। মুহিব বুল্লাহ সবসময় কর্মস্থল ফাঁকি দেন, এ নিয়ে নয়াদিগন্তে ৪/৩/২০২৪ তারিখে এবং দৈনিক জালালবাদ পত্রিকায় ২/৩/২০২৪ ইংরেজি তারিখে সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় ( স্মারক নং- এফ-১৮২/সইআমেকহাসি/২০২৪/২৭৩; তাং ৩/৩/২০২৪।
পঠিত : 39
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন