সিলেটপোস্ট ডেস্ক::হেমন্তের হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার শীতে শাক-সবজিতে ভরপুর সিলেটের বাজার। তবে বাজারগুলোতে শীতকালীন বেশিরভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, নতুন আলু সবকিছুরই দাম বেশি। বাজারে কেজি প্রতি সর্বনিম্ন ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিলেট নগরীর সুবহানিঘাট,রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা,টিলাগড়, মেজর টিলা,শাহী ঈদগাহ,মদিনামার্কেটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কাঁচাবাজারে সরেজমিনে গিয়ে শাক-সবজির চড়া দামের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সবজি বিক্রেতারা জানান, চাহিদার চেয়ে সংগ্রহ কম হওয়ায় শাক-সবজির দাম বাড়তি। তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে শাক-সবজিতে ভরপুর কিন্তু তারপরও বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে।
নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি শিম ১০০ থেকে ১২০, টমেটো ১০০ থেকে ১৩০, বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৮০, ফুলকপি ৮০ থেকে ১০০, ধনেপাতা ১২০ থেকে ১৫০, কাঁচামরিচ ১৫০ থেকে ১৮০, মুলা ৬০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, বেগুন ১২০, নতুন আলু ১২০ থেকে ১০০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর শাহী ঈদগা বাজারে সবজি ক্রেতা শারমিন চৌধুরী বলেন, শীত আসছে। শীতকালীন শাক-সবজি আরও আগে বাজারে আসছে কিন্তু দাম এখনো কমেনি। মাসখানেক আগে যখন শিম কিনলাম তখন বিক্রেতারা বললেন শীতের আগাম সবজি আসছে তাই দাম বেশি। এখন দাম কেন বাড়তি জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন বেশি দামে তারা সবজি কিনছেন তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। আমরাও কোনো উপায় না পেয়ে উচ্চমূল্যে শাক-সবজি কিনছি।
কাঁচাবাজারে পাশাপাশি ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও চড়া দামে বিক্রি করছেন শাক-সবজি। নগরীর বালুচর এলাকার গৃহিণী রোকসানা বেগম রুনা বলেন, বাজারের চেয়ে ভ্যানে সবজির দাম কম থাকে তাই প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনি। কিন্তু এখন বাজার আর ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের সবজির দাম প্রায় একই।
বন্দর বাজারের সবজি বিক্রেতা পিয়ার আলী বলেন, সবজির যোগান কম। তাই পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে বেশি দাম রাখছেন। আমরা খুচরা বিক্রেতা। বেশি দামে কিনলে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
সিলেটের সবচেয়ে বড় সবজির আড়ত হল সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারে। বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি আসে এখানে। এই কাঁচাবাজারের কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ অন্যান্য জেলা থেকে শাক-সবজি কম আসছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ি আসত এখন সেটা কমে ১০ থেকে ১৫তে চলে এসেছে। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।