সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, দেশছেড়ে পালিয়ে ভারতে বসে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
সীমান্তের কাছাকাছি এসে আমাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে, এদেশের মানুষ আর ভয় পায় না। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ২০ কোটি মানুষ নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে জানে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমরা অক্ষুন্ন রাখব। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌত্ব রক্ষার জন্য জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বেগম খালেদা জিয়া কারাবরণকে মেনে নিয়ে দেশ ছেড়ে যাননি, আমাদের নেতা তারেক রহমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিরামহীন লড়াই করছেন। দেশের মানুষের ভোটাধীকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরাও রাজপথে থাকব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাস সমূহে হামলা, ভাংচুর ও জাতীয় পতাকা পুড়ানোর প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভারতে আমাদের আগরতলা, কলকাতা ও বোম্বে উপ হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। বিয়েনা কনভেনশন অনুসারে যে দেশে দূতাবস অবস্থিত সেই দেশের পক্ষ থেকে ভিন্ন দেশের দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। আমরা যেভাবে ভারতে প্রতিটি দূতাবাস ও কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছি, ঠিক সেভাবেই আমাদের প্রতিটি দূতাবাস ও কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতের। এ ক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাসসমূহে যদি আর কোন হামলা হয় তাহলে আমরা ধরে নেব এটির পেছনে পালিয়ে যাওয়া অপশক্তির ইন্দন রয়েছে।
বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, ৫ আগষ্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের দেশ নিয়ে দেশী বিদেশী চক্রান্ত চলছে। আমাদের দেশের সর্বস্থরের জনগনকে সাথে নিয়ে সকল অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার জন্য রাজপথে রয়েছি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকমীরা অংশ গ্রহণ করেন।