তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তারা ভারতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়েছে শেখ হাসিনা, পৃথিবীর কোন দেশ শেখ হাসিনাকে জায়গা দেয়নি, ভারত তাকে জায়গা দিয়েছে সেখানে বসে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা সরকার ১৭ বছর খুন ও গুম করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভারতের পুতুল সরকার হাসিনা পতনের পরে ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ স্বৈরাচারের বিদায় এবং সদ্য জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন করেছে ঐক্যবদ্ধ শক্তি, আমরা ভারতকে ভয় পাই না। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের অযৌক্তিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এসময় ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পুড়ানো ও হাইকমিশনে হামলা এবং ভাংচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জিন্দাবাজারের একটি হোটেলের হল রুমে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত মহানগরীর সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, সিলেট মহানগরীর সকল থানার অর্šÍভূক্ত বিভিন্ন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, কারো প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের স্বার্থে আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। ভারত এ উপমহাদেশের একটি বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ। আমরা চাই জিয়াউর রহমান যে সার্ক গঠন করেছেন, সেই সার্কের আলোকে এ উপমহাদেশের রাজনীতি চলবে। আমাদের সঙ্গে কারো বৈরিতা নেই, আমাদের সঙ্গে সবার বন্ধুত্বই থাকবে। আজকে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে ১৯৭১ সালেও এমনই সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু শেখ পরিবারের লোকজন সংকট মুহূর্তে দেশ ও জাতির পাশে থাকে না। শেখ পরিবারের একজন মানুষও যদি মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেন।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব পরিচালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলার সভাপতি গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপদি প্রদীপ কুমার দেব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সহ-সভাপতি ভিকন নিঝুম সাংমা, পূজা উদযাপন পরিষদ জালালাবাদ থানার সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল, পূজা উপদযাপন পরিষদ দক্ষিণ সুরমা থানা শাখার সভাপতি দীপংকর দাস, এয়ারপোর্ট থানার সাধারণ সম্পাদক ভৈরব চন্দ্র নাথ, জিডি রুমু, রাজীভ দে চৌধুরী, বীরেশ দেবনাথ, নান্টুর ঞ্জন সিংহ, ধীরেন্দ্র ধর, অরবিন্দ্র দাশ গুপ্ত, সুব্রত দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাহপরাণ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশীষ রায়, বিশ্বজিৎ দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মোগলবাজার থানা শাখার সভাপতি মন মোহন দেবনাথ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মোগলবাজার থানা শাখার সভাপতি রাজ কুমার পাল রাজু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোতোয়ালী থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কপালী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জালালবাদ থানা শাখার সভাপতি সঞ্জয় পাল, সাধারণ সম্পাদক অপরেশ দাস অপু।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য বদরুদ্দোজা বদর, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, যুগ্ম সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান প্রমুখ।