ওসমানীনগরে কৃষকদের হতাশা

সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণউজ্জ্বল দাশ,ওসমানীনগর(সিলেট)::সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ছোট-বড় প্রায় সব হাওরেই ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছ। এমন অবস্থায় বোরো ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই কৃষকদের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। ফলে কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের ফসল পুড়ে নষ্ট হবার উপক্রম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় ৬ হাজার ৫ শত ৪৫ সেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এই এলাকার সকল কৃষক, বছরের বোরো বাম্পার ফসলের আশায় থাকে।
তাই এই মহামারী রোগে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা দিশেহারা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানায় প্রথমে ধানের পাতায় ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির সাদা ও বাদামী বর্ণের দাগ দেখা দেয় এবং পরে পুরো গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ বেশি হলে ধানের রঙ রোদে পুড়ে যাওয়ার মতো হয় ফলে ধানের ভিতর চাল থাকে না।
এ বিষয়ে কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, নিরাইয়া,কালাসারা, বানাইয়া ও মুক্তারপুর হাওরে এ রোগ দেখা দিয়েছে।
উমরপুর ইউনিয়নের কৃষক জমির মিয়া বলেন, সরকার এই মহামারী রোগের প্রতিকার ব্যবস্থা না নিলে কৃষক ধান চাষের উৎসাহ হারাবে।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উম্মে তামিমা বলেন, বোরো ধানের জমিতে এ রোগ দেখা দেওয়ার খবর জানার পরেই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করি এবং কার্যকরী পরামর্শ দেই। মূলত জমিতে ইউরিয়া প্রয়োগ, দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং অসময়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়া এ রোগ হওয়ার মূল কারণ হতে পারে। তিনি আরো বলেন, ২৮ জাতের ধানে (ব্লাস্ট) এই রোগের সংক্রমণ বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ সনাক্ত করা গেলে তবে ব্লাস্ট দমন করা সম্ভব হতো । তিনি আরও বলেন বোরো ধানের এই রোগ নিয়ে সমস্ত উপজেলায় কৃষকদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জনসচেতনতা মূলক সভা ও লিফলেট বিতরন করেছি । এ বিষয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ এবং যে কোনো সেবা দেয়ার জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি।