নিজের শরীরকে ফিট রাখতে অনেকেই অল্প বয়স থেকেই সব কিছুতে লো ফ্যাট খুঁজেন। একেবারেই ফ্যাটের ধারে কাছে যেতে চান না। কিন্তু আপনি যদি চল্লিশের পরও নিজের চেহারায় ত্রিশের লুক ধরে রাখতে চান তবে এই লো ফ্যাট ডায়েটের কথা একেবারেই ভুলে যেতে হবে। কিছুটা ফ্যাট আমাদের দেহের ক্ষতি নয় বরং উপকারই করে। ফ্যাট আমাদের দেহের পাওয়ার হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
নিয়মিত ব্যায়াম দেহকে ফিট রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু যদি প্রতিদিন বছরের পর বছর গৎবাঁধা নিয়মে শারীরিক ব্যায়াম করে যেতে থাকেন তাহলে তা কিন্তু আপনার দেহ ও ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলবে। মাঝে মাঝে দেহকে কিছুদিনের বিশ্রাম দেয়া এবং বয়সের সঙ্গে ব্যায়ামের নিয়মাবলী পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি যেমনটি ৩০ বছর বয়সে করেছেন তা আপনি ৪০ পেরিয়ে করতে পারবেন না। এতে দেহে চাপ পড়বে।
৪০ পার হতে না হতেই যদি নিজেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভাবতে থাকেন তাহলে দেহ এবং ত্বকে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। বয়স হয়েছে বলে ত্বকের যত্ন করবেন না, আগের মতো পরিশ্রম ও ব্যায়াম করবেন না। এসব করলে কিন্তু চলবে না। সবকিছুর দোষ বয়সের কাঁধে চাপিয়ে দেবেন না। মনের ভেতর ইচ্ছেশক্তি জাগিয়ে রাখুন। দেহ ও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করুন।
পানি দেহ, ত্বক ও দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য বিশেষভাবে জরুরী। নিষ্প্রাণ ত্বক, কিডনির ক্ষতি, দুর্বলতা এবং সেই সঙ্গে মনের বার্ধক্যের জন্যে দায়ী পানিশূন্যতা। নিয়মিত দৈনিক ৬-৮ গ্লাস পানি পান দেহকে রাখে টক্সিনমুক্ত, সুস্থ ও সবল এবং ধরে রাখে তারুণ্য।
কথাটি শুনে অবাক লাগলেও সত্যিকার অর্থেই অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। ব্যায়াম সুস্থ রাখে ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে দেহের মাংপেশি ও হাড়ের দুর্বলতা বাড়ে। ত্বকের ওপরেও পড়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। এজন্যে ব্যায়াম করুন, তবে সঠিক নিয়মে।