নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক থেকে বাঁশকল (খাস কালেকশন) সরিয়ে কোয়ারির উৎসমুখে স্থানান্তরের সুপারিশ করেছে জেলাপ্রশাসনের গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেডএম নুরুল হক স্মারক নং ০৫.৬৩.৯১৩০.০০২.২০১৩-১৫-২০ এ জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে স্থাপিত বাঁশকল প্রত্যাহার করে শ্রীপুর, আদর্শগ্রাম ও রাংপানি এই তিনটি স্থানে মাহাসড়কের পার্শ্ববর্তী সংযোগ সড়কের পৃথক তিনটি বাঁশকল স্থাপন করে খাস আদায় কার্যক্রম চলমান রাখার মতামত দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোয়ারি থেকে উত্তোলিত কিছু পাথর খাস কালেকশনের বাইরে থেকে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এসব পাথর পরিমাপ করে পৃথক ভাবে খাস আদায়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে জাফলং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু জানান, জেলা প্রশাসকের গঠিত কমিটি ২৭ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে জৈন্তাপুরের চাংজিলে স্থাপিত বাঁশকল খাঁস কালেকশনের উৎস মূখে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের চাংজিলে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন বাঁশকল বসিয়ে আমদানীকৃত (এলসি) পাথর থেকে খাস আদায়ের প্রতিবাদে গত ৮ এপ্রিল জৈন্তাপুর ট্রাক চালক আঞ্চলিক কমিটির শ্রমিকরা বাঁশকল ভেঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় ট্রাক চালক শ্রমিকরা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক হতে বাঁশকল ও নির্বাহীর অফিসার খালেদুর রহমানের অপসারণের দাবিতে ৮ এপ্রিল হতে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রাক অবরোধ করে কর্মবিরতি পালন করে। এর প্রেক্ষিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিনের নির্দেশে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসক ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।