সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস)। শনিবার জিহাদিস্ট ফোরাম নামের একটি মনিটরিং ওয়েবসাইটে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার প্রধান আসিম উমর। একইসঙ্গে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম শফিউল ইসলাম হত্যারও দায় স্বীকার করেছে সংগঠনটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইনভিত্তিক জঙ্গিবিরোধী আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান দ্য সার্চ ফর ইন্টারন্যাশনাল টেররিস্ট এনটিটিস (এসআইটিই) এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে শনিবার জিহাদিস্ট ফোরামে পোস্ট করা এক বার্তায় ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন আসিম উমর। এসআইটিই জানায়, ভিডিওতে উমর বলেছেন, তার সংগঠনই অভিজিতের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যান্য ইসলাম বিদ্বেষীদের হত্যা অব্যাহত থাকবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এর আগে হত্যাকণ্ডের ২ ঘণ্টার মধ্যেই আনসার বাংলা সেভেন নামের একটি জঙ্গি সংগঠন অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করে।
এ বিষয়ে র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত নই, তবে অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু ও রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডে আল কায়দার হাত থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তরা অভিজিৎকে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহত হন সঙ্গে থাকা স্ত্রী রাফিদা আহমেদ।
অভিজিৎ রায় ও রাফিদা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। অভিজিৎ ‘মুক্তমনা’ ব্লগের সম্পাদক ও লেখক। ‘কুসংস্কার ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে’ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে জাহানারা ইমাম পদক পায় মুক্তমনা। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে। রাফিদা আহমেদ লেখালেখি করেন বন্যা আহমেদ নামে।