নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় শিশুর অঙ্গহানির (আঙ্গুল কর্তন) ঘটনা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটি বাদী ও অভিযুক্তদের জবানবন্দি নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার কক্ষে অভিযোগকারী টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি বদরুর রহমান বাবর, অর্থোপেডিক্স ও সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. কাজী সেলিম, রেজিস্টার ডা. জাবের আহমদসহ ১০ জনের লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের সিভিল সার্জন আজহারুল ইসলাম, সদস্য সিলেটের কুষ্ট হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. তবিবুল ইসলাম ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমাংশু লাল রায়। শুরুতে সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গৌছ আহমদ চৌধুরী অভিযোগ পড়ে শোনান অভিযুক্তদের। পরে অভিযুক্তরা তদন্ত কমিটির সামনে তাদের নিজ নিজ বক্তব্য লিখে জমা দেন। এছাড়া অভিযোগকারী বাংলাভিশনের সিলেট অফিসের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবর তদন্ত কমিটির কাছে ভিডিও চিত্র, স্থিরচিত্র, চিকিৎসাপত্রসহ ১২৬ পৃষ্টার ডকুমেন্ট হস্তান্তর করেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর, মহাখালী, ঢাকা ডিজিএইচএস/শৃঙ্খলা-৪৫/১৫/১৯৩৩ স্মারকে সিলেটের সিভিল সার্জনকে সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবরের শিশু পুত্র সাফির আঙ্গুল কর্তনের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের সিলেট অফিসে ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের ৮ বছরের শিশুপুত্র সাফি দরজার হোজবেল্টে আঘাত পায়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আঙ্গুলে ‘গ্যাংগ্রিন’ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও সিলেটের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাফির ডানহাতের তর্জনী কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট ১০ জনের লিখিত জবানবন্দি নিয়েছে। এ জবানবন্দি ও প্রমানপত্র বিশ্লেষণ শেষে একটি সিদ্ধান্তে পৌছা যাবে।